প্রতারণা মামলায় সাংবাদিক আতিকুর রহমান (আতিক বাবু) এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের খবরটি গাইবান্ধার টক অব দ্যা ডিস্ট্রিক্টে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত জেলার সর্বত্র এই খবরটি আলোচিত হচ্ছে। এমনকি জেলার খোদ মফস্বল অঞ্চলগুলোতেও সাংবাদিক আতিক বাবুর কারাদণ্ডের বিষয়টি সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে।
বৃহস্পতিবার অর্থ প্রতারণার মামলায় গাইবান্ধা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সমপাদক ও গ্লোবাল টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আতিকুর রহমান ওরফে আতিক বাবুকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। গাইবান্ধা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক আলবিরুনী মীর এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি চাপা থাকলেও রোববার ব্যাপকভাবে মানুষ জানতে পারে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আদালত তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছেন। যেহেতু আসামি পলাতক রয়েছেন, তাই গ্রেপ্তারের দিন থেকে রায়ের কার্যকারিতা শুরম্ন হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ৭ জুন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গন্ড গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ কুমার মোদক গাইবান্ধা সদর থানায় আতিক বাবুর বিরুদ্ধে অর্থ প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলা নং ১৫/২০২০।
বাদী প্রদীপ কুমার মোদক জানান, গাইবান্ধা সদরের তৎকালীন সংসদ সদস্য মাহবুব আরা গিনি এমপির আত্মীয় হওয়ার কথা বলে এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমপর্ক থাকার সুযোগ নিয়ে আতিক বাবু অনেককে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এই বিশ্বাস থেকে তিনি আতিক বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে চাকরির বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা দেন। কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেলেও চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে প্রদীপ কুমার মোদককে হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায়ে প্রতারণার শিকার হয়ে তিনি মামলা করতে বাধ্য হন।
আতিক বাবুর বিরুদ্ধে অর্থ প্রতারণার মামলার রায় হলেও তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ আধা ডজন মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট তাকে গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে।