নোয়াখালী সদর উপজেলা সংবাদদাতা : আদালতের রায়ে সাড়ে তিন বছর পর চেয়ারম্যান হলেন জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ সাইয়েদ আহাম্মদ। গতকাল বুধবার নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাকে ৪৬৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কেন্দ্র ওয়ারি ফলাফলে জয়লাভ করেন মাওলানা সাইয়েদ আহমদ। তবে উপজেলা পর্যায়ে ফলাফলের কাগজপত্রে ওভার রাইটিং করে প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সামছুল আলমকে চার হাজার ৭৮২ ভোটে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এ ফলাফল বাতিল করে পূর্ণ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা সাইয়েদ আহমদ নির্বাচন কমিশনসহ জেলা ও উপজেলায় আবেদন করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জজ আদালতের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ৫/২২ মামলা দায়ের করেন।
আদালত দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর বিভিন্ন সাক্ষ্য তথ্য উপাত্ত ও ভোট পুনঃগণনা শেষে আজ বুধবার রায় প্রদান করেন। রায়ে অবশেষে সাইয়েদ আহমদকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন এবং একই সাথে আগের গেজেট বাতিল করেন।
আইনজীবী জানান, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সাড়ে তিন বছর আগে জনগণের রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। আজ আদালত সেই রায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। কাশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল টেম্পার করে আওয়ামী প্রার্থীকে জয়ী করা হয়, অথচ কেন্দ্রীয় ফলাফলে স্পষ্ট জয়ী ছিলেন সাইয়েদ আহমদ। উপজেলা পরিষদে ফলাফলের টেম্পারিং হয়েছে। সেখানে তাকে ১১ ভোটে হারিয়ে দেয়া হয়েছিল।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদ বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। সত্য কখনো চাপা থাকে না- গতকাল বুধবার তা প্রমাণিত হলো। এটি জনগণের বিজয়। আমার ইউনিয়নের বাসিন্দারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাই আমি শুরুতেই নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছিলাম। আজ আল্লাহর রহমতে জয় পেয়েছি। ইউনিয়নের জনগণের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।