জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আটটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর ফলে তার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো।

রাষ্ট্র ও আসামী উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গতকাল রোববার ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ বিষয়ে আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এর আগে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য ২ নবেম্বর দিন ঠিক করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে রাষ্ট্রপক্ষ গত ২৩ অক্টোবর শুনানি শেষ করে। এতে ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়। অন্যদিকে আবেদনের পর ২৮ অক্টোবর আসামীপক্ষের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মামলায় একমাত্র আসামী ইনু। শুনানিতে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে কুষ্টিয়ায় হত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইনু আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে টিভি চ্যানেলে বক্তব্য দেন। তিনি আন্দোলনকারীদের বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী, জঙ্গী ইত্যাদি সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দিয়ে উসকানি দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে সায় দেন। তৎকালীন সরকারের কারফিউ জারি করে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে হত্যাসহ নির্যাতনকে কৌশলে সমর্থন দেন। আন্দোলন দমনে গুলী, বোম্বিং ও হত্যাসহ শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ অনুমোদন করেন। এসব পরিকল্পনা কার্যকর করতে হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে ষড়যন্ত্র, সহায়তা ও সম্পৃক্ত থাকাসহ আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে ইনুর বিরুদ্ধে।

চার্জ গঠনের সময় হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। শুধু গায়েবি মামলার ঝড়ে বিধ্বস্ত, রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার হয়েছি।

আদেশের আগে ইনুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা অভিযোগ পড়ে শোনান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় ট্রাইব্যুনাল ইনুর কাছে জানতে চান তিনি দোষী না নির্দোষ। জবাবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ইনু বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার এবং গায়েবি মামলার ঝড়ে বিধ্বস্ত। আমি আশা করবো, আল্লাহর পরে এই ট্রাইব্যুনাল ন্যায়বিচার করবেন।

এদিন ইনুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানোর পরে ইনুর কাছে ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, তিনি অভিযোগগুলো শুনতে পেয়েছেন কি না। জবাবে ইনু বলেন, তিনি কিছু শুনতে পেয়েছেন, কিছু শুনতে পাননি।

এ সময় অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন সম্পর্কে জানতে চান ইনু। ট্রাইব্যুনাল বলেন, তার (ইনু) আবেদন গ্রহণ করেননি। এরপর ইনু বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন গায়েবি মামলা হচ্ছে। আইন উপদেষ্টাও বলেছেন গায়েবি মামলা হচ্ছে। তাদের এমন কথা শুনে তিনি (ইনু) খুশি হয়েছিলেন।

শুনানিতে ইনুর উদ্দেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনার বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আপনি ‘গিল্টি প্লিড’ (দোষ স্বীকার) করলে আমাদের কাজ শেষ হয়ে যায়। নয়তো আমরা বিচার শুরু করবো।

জবাবে ইনু বলেন, আমি কয়েকটি অভিযোগ শুনেছি। বাকিগুলো শুনিনি। তবে আপনারা আমার আবেদনটি আমলে নিচ্ছেন না।

তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, হ্যাঁ। আমরা আপনার আবেদনটি রিজেক্ট করেছি। আপনি দোষ স্বীকার করবেন কি না বলুন। ইনু বলেন, যে অভিযোগগুলো পড়া হয়েছে আমি সব শুনিনি। তখন চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ফরমাল চার্জের কপি দিলে তিনি পড়তে পারবেন।

এ সময় ইনু বলেন, অনুমতি দিলে ট্রাইব্যুনালকে আমি দুটি কথা বলতে চাই। তার এমন কথায় প্রসিকিউশন থেকে বলা হয় এখানে অন্য কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। এরপর কয়েকটি কথা বলে জবাব দিতে চান ইনু। ট্রাইব্যুনাল বলেন, সুযোগ নেই। আপনি আইনজীবী নিয়োগ করেছেন, যা বলার ওনার মাধ্যমে বলবেন।

তিনি বলেন, সিএমএম কোর্টে আমার বিরুদ্ধে ৬০টি মামলা চলমান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও গায়েবি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন। আমি রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার। গায়েবি মামলার ঝড়ে আক্রান্ত। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ৫ আগস্টের আগে যা হয়েছে তা ভুলে যান।

এ সময় ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি মনে করি আল্লাহর পর বিচারের প্রতিনিধি আপনি। আপনি ন্যায়বিচার করবেন। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।

এরপর ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

আগামী ৩০ নবেম্বর মামলায় সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

হানিফসহ ৪ জনের বিচার শুরু : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

একই সঙ্গে, মামলায় ওপেনিং স্টেটমেন্ট (সূচনা বক্তব্য) উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৫ নবেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

হানিফ ছাড়া মামলার অপর তিন আসামী হলেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা। চারজনই বর্তমানে পলাতক।

রাষ্ট্র ও আসামী উভয় পক্ষের শুনানি শেষে গতকাল রোববার ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ বিষয়ে আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এর আগে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য ২ নবেম্বর দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রাষ্ট্র ও আসামী উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-২ আদেশ দেন। আদালতে ওইদিন পলাতক চার আসামীর পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে নিয়োগপ্রাপ্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী মো. আমির হোসেন শুনানি করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও মঈনুল করিম প্রমুখ।

গত ১৪ অক্টোবর পলাতক চার আসামীকে আদালতে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। বাংলা ও ইংরেজি দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়।

এর আগে ৬ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল চার আসামীর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তবে কেউ হাজির না হওয়ায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়।

গত ৫ অক্টোবর প্রসিকিউশন চার আসামীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে, যেখানে তিনটি নির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয় উসকানিমূলক বক্তব্য, ষড়যন্ত্র ও কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে কুষ্টিয়ায় ছয়জন নিহত ও বহুজন আহত হন। এ ঘটনার পর হাসানুল হক ইনু ও মাহবুব উল আলম হানিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি পৃথক মামলা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থানে ছয়জন নিহত হন শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুত্তাকিন ও মো. উসামা, ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী এবং চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ।

আন্দোলনকারীদের হত্যা করার

বৈধতা তৈরি করেছেন ইনু

- চিফ প্রসিকিউটর

স্টাফ রিপোর্টার: আসামী দোষী না নির্দোষ, এর বাইরে অন্য কোনো বক্তব্য আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হিসেবে ইনু একজন প্রভাবশালী নেতা। জোটের মিটিংয়ে আন্দোলন দমনে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ, কারফিউ জারি, শ্যুট অ্যাট সাইটের ব্যাপারে তার ভূমিকা ছিল। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির কারণে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ গঠন হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। ছাত্রদের সন্ত্রাসী, জামায়াত-শিবির, বিএনপি বলে হত্যা করার যৌক্তিক বা বৈধতা তৈরি করেছেন। ড্রোন-হেলিকপ্টার ব্যবহার, বোম্বিং করাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন ইনু।

গতকাল রোববার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ইনুর বিরুদ্ধে আজ আটটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আইনের বিধান হচ্ছে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয় যে আপনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন হয়েছে। আপনি কি নিজেকে নির্দোষ নাকি দোষী মনে করেন। নিজেকে দোষী বললে আদালত এটার ভিত্তিতে একটা রায় দিয়ে ফেলতে পারেন। আর নির্দোষ হলে মামলাটি বিচারে যাবে। সাক্ষ্যপ্রমাণের মাধ্যমেই তাকে প্রমাণ করতে হবে তিনি নির্দোষ। আর প্রসিকিউশন প্রমাণের চেষ্টা করবে তিনি দোষী। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি একটা জবাবই শুধু দিতে পারবেন। সেটা হচ্ছে দোষী না নির্দোষ। এর বাইরে তিনি যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তা আমলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তাজুল ইসলাম বলেন, ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হিসেবে ইনু একজন প্রভাবশালী নেতা। জোটের মিটিংয়ে আন্দোলন দমনে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ, কারফিউ জারি, শ্যুট অ্যাট সাইটের ব্যাপারে তার ভূমিকা ছিল। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির কারণে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ গঠন হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। ছাত্রদের সন্ত্রাসী, জামায়াত-শিবির, বিএনপি বলে হত্যা করার যৌক্তিক বা বৈধতা তৈরি করেছেন। ড্রোন-হেলিকপ্টার ব্যবহার, বোম্বিং করাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন ইনু।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছেন ছাত্র-জনতাকে কীভাবে আটক করা উচিত। জেলে না পাঠিয়ে কি করা উচিত। আট নম্বর অভিযোগটা ছিল কুষ্টিয়া শহরে গত বছরের ৫ আগস্ট ইনুর নির্দেশে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ মিলে ছয় ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। আগামী ৩০ নবেম্বর এ মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।