রাজধানীর বনানী এলাকায় সিসা বারে ছুরিকাঘাতে রাহাত হোসেন রাব্বি নামের এক যুবককে খুনের ঘটনায় চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম ইসরাত জেনিফার জেরিন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন বনানী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এরা হলেন-মীর হোসেন (২২), ফজলে রাব্বি (২৪), সাব্বির আহমেদ সুমন (৩০) ও আরাফাত ইসলাম ফাহিম (২৭)। চারজনকে কারাগারে পাঠানোর তথ্য দিয়ে প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই আমজাদ শেখ চার সন্ধিগ্ধ আসামীকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামীদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ‘৩৬০ ডিগ্রি’ নামের ওই সিসা বার থেকে নামার সময় ভবনের সিঁড়িতে রাব্বিকে (৩১) ছুরিকাঘাত করা হয় বলে বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাব্বিকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাব্বি মহাখালী এলাকার বাসিন্দা। ছুরিকাঘাত করা ব্যক্তিরা তার পূর্বপরিচিত বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ভিডিও দেখা গেছে, রাব্বি সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় প্রথমে তিনজন তাকে ঘিরে ধরে। এরমধ্যেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাদের মধ্যে একজন রাব্বিকে কিছু একটা দিয়ে পেটাতেও দেখা গেছে। পরে রাব্বি পেছনের দিকে সরে লিফটের সামনে চলে এলে একজনকে দুই দফা কিছু একটা দিয়ে রাব্বির দিকে ছুড়ে মারতে দেখা গেছে। সবশেষে আরেকজন এসে রাব্বির ডান হাতের কনুইতে ছুরিকাঘাত করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যায়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাব্বির বাবা রবিউল আউয়াল বনানী থানায় মামলা করেন। পরে এই চারজনকে বনানী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকর্মকর্তা বনানী থানার এসআই আমজাদ শেখ।

এদিকে এ হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব সদর দফতরের মিডিয়া বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। র‌্যাব জানিয়েছে, সম্প্রতি বনানীতে সিসা বারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পরে সেই ঘটনায় বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। কিন্তু আসামীরা পলাতক। তাদের মধ্যে দুজনকে শুক্রবার কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত রাব্বি ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করতেন। পুলিশের ধারণা, আর্থিক লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে হত্যা করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে দেখা গেছে।