জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মামলার প্রভাবশালী অনেক আসামী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত বছর জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে দলের কয়েকজন নেতা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিও পালিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। পালাতে গিয়ে ধরা পড়েন কয়েকজন। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলীতে নিহত ও আহতের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানা এবং আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলার বেশ কয়েকজন আসামী রয়েছেন যারা দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী, শিল্পগ্রুপের মালিক ও আমলা। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত তারা আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-খুনসহ বহু অন্যানয় অপকর্মে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। কোনো রাখঢাক ছাড়াই প্রকাশ্যে শেখ হাসিনা সরকারকে সমর্থন করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব আওয়ামী লীগের দোসররা কিছুদিন গাঢাকা দিলেও এখন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছেন। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে নেপথ্যে কলকাঠি নাড়াচ্ছেন। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে গোপন বেঠক করছেন। অর্থের যোগান দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার একটি মামলার রায় ঘোষণার দিনক্ষন সামনে আসাকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে গোয়েন্দারা। সম্প্রতি দেশের কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেয়া এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের একটি মামলার চার্জশিট দিয়েছে প্রশিকিউশন। প্রসিকিউশন এ মামলায় আদালতে শেখ হাসিনার চরম মৃত্যুদন্ড চেয়েছেন। এই মামলার রায় শিগগরই ঘোষণা করা হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। এসব মামলার দ্রুত তদন্ত এগিয়ে আসার সাথে নিষিদ্ধ দলের নেতাকর্মীরা গোপনে সংগঠিত হয়ে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
গত বছরে জুলাইয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলী চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চলে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। প্রাণ হারায় নারী, শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। কিন্তু সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ কয়েকজন ছাড়া গত এক বছরেও জুলাই হত্যাকা-ের নির্দেশদাতা ও নেপথ্যের কুশীলবদের অধিকাংশই ধরা পড়েনি। কেউবা দেশেই আত্মগোপনে আছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পলাতকদের বড় অংশই ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। জুলাই হত্যাকা-ের নির্দেশদাতা ও নেপথ্যে থেকে অর্থের যোগানদাতারা গ্রেফতার না হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্বজনরা আসামীদের বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এখনও যারা গ্রেফতারের বাইরে আছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। গত বছর আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর গুলী চালানোর নির্দেশ দেওয়ার পর ১৬ জুলাই সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে। এতে রাজধানীসহ সারা দেশে একের পর এক নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা হতাহত হতে থাকে। হতাহতের ঘটনায় ইতোমধ্যে সারাদেশে ১ হাজার ৭৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলা হয়েছে ৭৪৯টি। ইতোমধ্যে ১৫টি মামলায় পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে। ১ হাজার ৭৩০টি মামলায় ১ হাজার ৫১০ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ৬৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য। কিন্তু হত্যাকান্ডের নির্দেশদাতা ও নেপথ্যে থাকা অধিকাংশই অধরা, তারা ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা করেছিলেন। এখনো আওয়াশী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ছাত্র-জনতা হত্যাকা-ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর সূত্রে জানা গেছে, এখনও গ্রেফতারের বাইরে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকার সাবেক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ, সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির ডিবির সাবেক প্রধান হারুন উর-রশীদ, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রাজশাহী রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আনিসুর রহমান, আরএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, সিটিটিসির সাবেক প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, মেহেদি হাসান, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, পুলিশের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান প্রমুখ। পলাতকদের মধ্যে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকার সাবেক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান ভারতে এবং সাবেক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বেলজিয়ামে আত্মগোপনে আছেন। অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এনটিএমসির সাবেক প্রধান জিয়াউল হাসান কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় যারা আসামী, তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যারা গুলী করেছে, গুলীর নির্দেশ দিয়েছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বদ্ধপরিকর ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এদিকে এক গত সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পরপর তিনটি বড় ধরনের অগ্নিকা-ের পর সারা দেশে পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) লক্ষ্য করে হামলার আশঙ্কা রয়েছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে দেশের সব মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশকে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কেস স্ট্যাডি: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার ওপর হামলা সংঘর্ষের ঘটনাগুলোর মধ্যে ঢাকায় সব চেয়ে আলোচিত একটি এলাকা যাত্রাবাড়ী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলীতে একদিনেই যাত্রাবাড়ীতে কমপক্ষে ৫২ জন সাধারণ মানুষ নিহত। ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলীতে আহত জুলাই যোদ্ধা মো. আকাশ বাদি হয়ে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদজ্জামান কামাল ও অর্থের যোগানদাতা হিসেবে প্রভাবশালী কয়েকজনসহ ১১৯ জনের নামে আদালতে একটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ১ থেকে ৮৫ নং আসামীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আদেশে এবং তাদের আর্থিক সহযোগীতায় হামলা ও গুলী চালানোর কথা উল্লেখ করা হয়। এজাহারে ঘটনার তারিখ ১৯ জুলাই, ২০২৪ এবং স্থান যাত্রাবাড়ি থানাধীন কাজলাব্রিজ সংলগ্ন ১০/২৮৫ শহীদ মোজাফফর সড়কস্থ ‘মক্কা কাচ্চি বিরিয়ানী’ দোকানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ি থানার অধীনে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে এই মামলাটি দায়ে করা হয়। মামলা নং ৫১২/২৫। মামলাটির প্রাথমিক তদন্ত ও প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত ৮ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় মোট ১১৯ জন আসামীর মধ্যে উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি মো. মতিউর রহমান ৩৪ নম্বর আসামী। এছাড়াও দেশের আরও কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপের কর্ণধার রয়েছেন এ মামলার আসামী। এরমধ্যে-নাশা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবাল, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি ও প্রাইম ইন্সুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসরাম, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, সবুজসছায়া, বেঙ্গল ও রঙধনু গ্রুপ উল্লেখযোগ্য। এসব ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে শেখ হাসিনা এবং তার দল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে আনুষ্ঠানিক- অনানুষ্ঠানিকভাবে আর্থিক ডোনেশন দিতেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরমধ্যে উত্তরা গ্রুপ অব কোম্পানিজ’র চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মতিউর রহমান ছিলেন ফ্যাসিস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগের অন্যতম অর্থের যোগানদাতা। শেখ হাসিনাকে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য যেসব ব্যবসায়ী মরিয়া হয়ে কাজ করেছেন তারমধ্যে অন্যতম ছিলেন এই মতিউর রহমান। ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেন। যে কারণে জুলাই গণহত্যার একটি মামলায় তিনিও এজাহারভুক্ত আসামী। অভিযোগ রয়েছে পাশর্^বর্তী দেশের অর্থে গড়ে ওঠা উত্তরা গ্রুপের মালিক মো. মতিউর রহমান কিছু দিন পরপরই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সরকারকে মোটা অংকেরে ডোনেশন দিতেন। ওই সময় গণমাধ্যমে এ নিয়ে ছবিসহ খবরও প্রকাশিত হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলীবিদ্ধ জুলাই যোদ্ধা আকাশেল করা মামলায় মোট ১১৯ জনকে আসামীর মধ্যে উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি মো. মতিউর রহমান ৩৪ নম্বর আসামী। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ৮ জুলাই প্রাথমিক তদন্ত ও প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।
এদিকে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের ৫ হাজার ১শ’ কোটি টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে দুদকের যে অনুসন্ধান চলছিল তা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। শিগগিরই দুদকের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে। অর্থ আত্মসাত ও পাচারের ঘটনায় মোট ৬টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উত্তরা গ্রুপ অব কোম্পানিজ এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মতিউর রহমান, যিনি উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান তিনিসহ মোট ৯ জনকে এসব মামলায় আসামী করা হতে পারে। দুদক সূত্র জানিয়েছে, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের ঘটনা উদঘাটিত হয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে। অবশ্য, এর আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছিল। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ’র (বাংলাদেশ ফাইনেন্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট) প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত কিছু সুনিদিষ্ট তথ্য তুলে ধরা হয়।
এদিকে গুলশান থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় দেশবিরোধী প্রচারণায়অর্থযোগানদাতা হিসেবে ক্যাসিনোকা-ে আলোচিত সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। গত বুধবার সকালে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক মামুন। আবেদনে বলা হয়, সেলিম প্রধান দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘœ ঘটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রয়াসে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের অর্থযোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের তিনি অর্থ যোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। এরআগে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে গুলশানের বারিধারার নেক্সাস ক্যাফে প্লেস নামক একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়।