গাজীপুর আদালত চত্বরে হামলা ও অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পর ভুক্তভোগী মোঃ মিলন মিয়া বুধবার রাতে গাজীপুর সদর মেট্রো থানায় ওই মামলা (নং-৩৬) দায়ের করেন। মামলায় বাবা-ছেলেসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রীপুর থানার একটি মামলায় স্থায়ী জামিন নিতে আদালতে যান মিলন মিয়া ও তার ভাই বাবুল মিয়াসহ ১৩ জন। স্থায়ী জামিন পাওয়ার পর আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে অতর্কিত হামলার শিকার হন তারা। হামলায় শ্রীপুরের তেলিহাটি এলাকার এস.এম. নাজমুল হক (৩৫), এস.এম. এনামুল হক নাঈম (৩০) ও তাদের পিতা মোঃ শহিদুল্লাহ (৬০) সহ আরও ৫০-৬০ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত জড়িত ছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই তিন জনের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয় আইনজীবী সমিতিতে হামলা ও অপহরণের সময় প্রাণ বাঁচাতে মিলন ও তার সঙ্গীরা আইনজীবী সমিতির অফিসে আশ্রয় নেন, কিন্তু দুর্বৃত্তরা সেখানেও ঢুকে হামলা চালায়। এতে আইনজীবী সহকারী আইয়ুব মিয়া গুরুতর আহত হন এবং তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলাকারীরা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মিলন ও বাবুলকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অপহরণের পর তাদের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় এবং লাগাতার মারধর করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে তারা গুরুতর আহত অবস্থায় আদালতে এসে তাদের আইনজীবির নিকট ঘটনার বর্ণনা দেন। গাজীপুর আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসিনা আক্তার জাহান বীথি এবং সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেনসহ নেতৃবৃন্দরা আদালত চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।