সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বিরুদ্ধে প্রায় আট কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। আর তার স্ত্রী নাদিরা মাহমুদের বিরুদ্ধে সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হয়েছে আরেক মামলা। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টায় এ তথ্য জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। এর আগে ওই দুই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, তাতে ৭ কোটি ৯৪ লাখ ৬৪ হাজার ১২৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পাশাপাশি ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ১০২ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। নাদিরা মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলায় তার স্বামীকেও আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩৪ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের সময় স্ত্রী নাদিরা স্বামীর প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় ওই সম্পদ অর্জন করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে।

১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন নরসিংদী-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নরসিংদী-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর জাতীয় সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২৪ সেপ্টেম্বর সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশান থেকে গ্রেপ্তার হন নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।