লন্ডনে বড় ছেলের (তারেক রহমান) বাসায় আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ আছেন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল মঙ্গলবার লন্ডন থেকে টেলিফোনে গণমাধ্যমকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন একথা জানান।

তিনি বলেন, আলহামদুল্লিাহ, ম্যাডামের অবস্থা পূর্রের চেয়ে অনেকটা স্থিতিশীল। লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে থেকে ম্যাডাম মোটামুটি আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন। মানসিক প্রশান্তি উনার শারীরিক সুস্থতার পরিমানকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ বলেন, উনি ভাল্ োআছেন এ্ইটুকু বলা যায়। খুব সুস্থ হয়ে উঠেছেন একথা আমি বলব না। বাট উনি যেকোনো সময়ের তুলনায় আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি অনেকটা সুস্থ আছেন। আপনার উনার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।

কবে দেশে ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা যেদিন উনারকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরত যাওয়ার উপযুক্ত মনে করবেন ওইদিন তিনি ফিরবেন ইনশাল্লাহ।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিএনপি চেয়ারপার্সন লন্ডন যান। হিথরো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সরাসরি লন্ডনের ডেভেনশায়ার প্লেসে ‘লন্ডন ক্লিনিক’ এ ভর্তি করা হয়।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।

লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ছেলে তারেক রহমান যিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমানে দলটি পরিচালনা করছেন তার কিংস্টনের বাসায় উঠেন খালেদা জিয়া।

লন্ডন ক্লিনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক জন প্যাট্টিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস এর তত্ত্বাবধায়নে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন। ইউকের যে নিয়ম আছে সেই নিয়ম মেনেই বাসায় উনার চিকিৎসা চলছে বলে জানান জাহিদ।

তিনি বলেন, সব মিলিয়ে আমি বলব, উনি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে এবং আপনাদের সবার দোয়ায়, চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় সর্বোপরি আমাদের সবার ঐকান্তিক আকুতি ও দোয়া-চেষ্টা তারই ফলোশ্রুতিতে এখন পর্যন্ত উনার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে স্থিতিশীল আছেন। এখানকার লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা নিয়মিতভাবে বাসায় উনাকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। প্রতি সাপ্তাহে উনাকে চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষনও করছেন, বিভিন্ন ওষুধপত্র দিয়ে যাতে উনি সুস্থতা বোধ করেন যাতে উনি সুস্থ হয়ে উঠেন।

অধ্যাপক জাহিদ বলেন, চিকিৎসার দিকটা তো বললাম। মানসিকভাবে প্রায় ৭ বছর হয়ে গেছে ৭ বছর পরে উনি উনার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, উনার সহধর্মিনী ডা. জোবাইদা রহমান, উনার সুযোগ্য কণ্যা ব্যারিস্টার জায়মা রহমান এবং মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিনী সৈয়দা শায়লা রহমান, উনার দুই কণ্যা জাফিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান তাদেরকে পাশে পেয়ে মানসিকভাবে অনেকটা ম্যাডাম সুস্থ আছেন। মানসিক সুস্থতায় উনার শারীরিক সুস্থতাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।