রাজধানী
প্রকাশ্যে ধূমপান অপরাধ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পাবলিক প্লেসে ‘ধূমপান’ নিষেধাজ্ঞা ॥ আইন আছে, প্রয়োগে নেই?
প্রকাশ্যে ধূমপান করা অপরাধ। আর সরকার নির্ধারিত পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধে আইন আছে, কিন্তু এর প্রয়োগ নেই।
Printed Edition
তোফাজ্জল হোসাইন কামাল : প্রকাশ্যে ধূমপান করা অপরাধ। আর সরকার নির্ধারিত পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধে আইন আছে, কিন্তু এর প্রয়োগ নেই। প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের চেহারাও চোখে পড়ে না। ফলে দেশজুড়েই প্রকাশ্যে ধূমপান চলছে, আর পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ হচ্ছে না। গত শনিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় প্রকাশ্যে ধূমপানকে কেন্দ্র করে ঘটে গেছে এক তুলকালাম কাণ্ড। এ ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এখন সরব উপস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রে। ওই তুলকালাম কান্ডের পরদিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে ধূমপান করা যে অপরাধ তা মনে করিয়ে দিয়েছেন। এ সময় তিনি প্রকাশ্যে ধূমপান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন। এর জবাবে শাহবাগে একটি সমাবেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগেরও দাবি ওঠে।
বিশিষ্টজনরা বলছেন, প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধে আইন প্রণয়ন করার পর শুরুর দিকে তা বাস্তয়ায়ন করতে পুলিশ কিছু অভিযানও চালিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর আইন অমান্য করে খোদ পুলিশের বহু সদস্যই প্রকাশ্যে ধূমপান করেন। আর এর সুযোগ নেয় জনগণও। এভাবে পুলিশ-জনতার দায়িত্বহীনতায় কেতাবি বিষয়ে পরিণত হয় ধূমপান নিয়ন্ত্রণ আইন। মূলত ধূমপান আইন মেনে না চলার প্রবণতা, জরিমানার পরিমাণ কম হওয়া এবং তামাক উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাপটের কারণে আইন প্রয়োগে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।
লালমাটিয়ায় হুলস্থূল : শনিবার সন্ধ্যায় লালমাটিয়ায় দুই তরুণীর প্রকাশ্যে ধূমপান নিয়ে বয়স্ক একজনের ‘আপত্তি’ থেকে ‘বাকবিতণ্ডা’ ও মানুষ জড়ো হয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে ঘণ্টা চারেক ধরে এ নিয়ে থানা-পুলিশ হয়েছে। কথা কাটাকাটি থেকে মুহূর্তেই তৈরি হওয়া ৪০-৫০ জনের একটি 'মব' থেকে পরে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই দুই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে মোহাম্মদপুর থানায় প্রায় চার ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের 'দেন-দরবারে আপসের' পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই তরুণীকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ধানমন্ডির বাসিন্দা ওই দুই তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা ঘটনার বিষয়ে বলেন, ধূমপান করা নিয়ে বয়স্ক এক ব্যক্তির সঙ্গে বাকবিতণ্ডার মধ্যে এক তরুণী ওই ব্যক্তির দিকে চা ছুঁড়ে মারলে ঝামেলা বেঁধে যায়। একপর্যায়ে দুইজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে, অন্য আরও কয়েকজন মিলে তাদেরকে ধরে ফেলে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লালমাটিয়ায় আড়ংয়ের পাশের একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনার সূত্রপাত ।
প্রকাশ্যে ধূমপান অপরাধ : লালমাটিয়ায় ঘটে যাওয়া তুলকালাম কাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রকাশ্যে ধূমপান করা যে অপরাধ তা মনে করিয়ে দিয়েছেন। রোজার মাসে তিনি প্রকাশ্যে ধূমপান ও খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন। ঘটনার পরদিন রোববার রোববার রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) পরিদর্শনে গিয়ে শনিবার লালমাটিয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ওই ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “দুই নারীর ওপর হামলার বিষয়ে আমি যতটুকু জানছি ওনারা না কি সিগারেট খাইতেছিল। ওই সময় কিছু লোক না কি নামায পড়তে যাইতেছিল। এসময় ওনারা (লোকেরা) বাঁধা দেওয়ায় তাদের ওপর চা ছুঁড়ে মারছে। “তো আপনারা জানেন ওপেন জায়গায় সিগারেট খাওয়া কিন্তু নারী-পুরুষ সবার জন্যই নিষেধ। এটা কিন্তু একটা অফেন্স। এজন্য আমি অনুরোধ করব, ওপেন যেন কেউ সিগারেটটা না খায়।
বিভিন্ন সংস্থার জরীপ : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বছরে ১২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় বিশ্বে। গ্লোব্যাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ‘আচ্ছাদিত’ কর্মস্থলে কাজ করেন- এমন প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৪২ দশমিক ৭ শতাংশ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ঢাকার ১১৮টি আবাসিক হোটেল ও ৩৫৫টি রেস্তোরাঁ, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ৫৩টি ট্রেনের ওপর সম্প্রতি একটি গবেষণা চালায়। এতে দেখা গেছে, ৫২৬টি নমুনার মধ্যে মাত্র ৪১টিতে (৮ শতাংশ) ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা পাওয়া গেছে, যার একটিও পরিপূর্ণভাবে আইন মেনে করা হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে অধূমপায়ীদের সুরক্ষায় আইন সংশোধন করে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা’ বিলুপ্ত করে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। থাইল্যান্ড, নেপাল, তুরস্ক, যুক্তরাজ্যসহ ৬৭টি দেশ ‘ধূমপানের জন নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বাতিল করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, তামাকপণ্যের ধোঁয়ায় আক্রান্ত হওয়ার নিরাপদ কোনো মাত্রা নেই। তামাকের ধোঁয়ায় রয়েছে ৭ হাজার রাসায়নিক পদার্থ, যার মধ্যে ৭০টি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী। ফুসফুস ক্যান্সার, স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ পরোক্ষ ধূমপান। বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান রাখার সুযোগ থাকায় পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে অধূমপায়ীদের রক্ষায় আইনটি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না।
টোব্যাকো অ্যাটলাসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। একটি সমীক্ষায় ঢাকার স্কুলগুলোর আশপাশে প্রায় ৭৫ শতাংশ খুচরা বিক্রেতাকে কোনো না কোনো উপায়ে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন এবং ৩০ শতাংশ খুচরা বিক্রেতাকে শিশুদের চোখ বরাবর স্থানে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। ঢাকার ৭৬ শতাংশ পয়েন্ট অব সেল বা বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২১ সালের তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মিয়ানমার ও নেপালের পরেই বাংলাদেশে সবচেয়ে কম দামে ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। বিড়ি ও ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য এখানে আরও সস্তা। খুচরা শলাকা ও খোলা তামাকপণ্য বিক্রয়ের ফলে এ সহজলভ্যতা ক্রমশ বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। কাজেই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুচরা শলাকা ও খোলা তামাকপণ্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।
গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক এক প্যাকেট সিগারেট ব্যবহারকারী একজন ধূমপায়ী সিগারেট কেনা ও ব্যবহার করার সময় দিনে কমপক্ষে ২০ বার, বছরে ৭ হাজার বার সিগারেটের প্যাকেটে ছাপানো ছবি দেখে থাকে। অথচ তামাকজাতপণ্য যখন খুচরা শলাকা বা খোলা হিসেবে বিক্রি হয় তখন স্বাস্থ্য সতর্ক বার্তা দেখা যায় না। ফলে তামাক নিয়ন্ত্রণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্ক বার্তা তামাকপণ্যের ব্যবহার হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে না। এই অবস্থায় বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ সংশোধন করে বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা এবং প্যাকেট ব্যতীত বা খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করতে হবে।
আইনে যা বলা আছে : জনপরিসরে ধূমপান রোধে ২০০৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ করে বিএনপি সরকার। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনটিতে কিছু সংশোধন আনা হয়। বর্তমানে এই আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষেধ। কেউ এই আইনের লঙ্ঘন করলে ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড হবে। আর কেউ এরপরে আবারও একই অপরাধ করলে অর্থদণ্ড দ্বিগুণ হবে।
এই আইনের ২ এর ‘চ’ ধারায় পাবলিক প্লেস বলতে বোঝানো হয়েছে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও বেসরকারি অফিস, গ্রন্থাগার, লিফট, আচ্ছাদিত কর্মক্ষেত্র হাসপাতাল ও ক্লিনিক ভবন, আদালত ভবন, বিমানবন্দর ভবন, সমুদ্রবন্দর ভবন, নৌ-বন্দর ভবন, রেলওয়ে স্টেশন ভবন, বাস টার্মিনাল ভবন, প্রেক্ষাগৃহ, প্রদর্শনী কেন্দ্র, থিয়েটার হল, বিপণী ভবন, চতুর্দিকে দেয়াল দ্বারা আবদ্ধ রেস্টুরেন্ট, পাবলিক টয়লেট, শিশুপার্ক, মেলা বা পাবলিক পরিবহনে আরোহণের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সারি, জনসাধারণ কর্তৃক সম্মিলিতভাবে ব্যবহার্য অন্য কোন স্থান অথবা সরকার বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, সময় সময় ঘোষিত অন্য যে কোন বা সকল স্থান।
বিশেষজ্ঞ মতামত : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চের সভাপতি এস এম মোস্তফা জামান বলেন, তামাক বছরে দেশের ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতার দিক থেকে এই ব্যবসা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। “ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। এর পেছনে ব্যয় করতে গিয়ে অধিকাংশ মানুষই নিঃস্ব হয়ে যান। আইন সংশোধন হলে সবার উপকার হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের আইন আছে, তবে আইনের অনেক ফাঁকফোকরও রয়েছে। একইসঙ্গে কিছু দুর্বলতাও রয়েছে। যার ফলে আইনটি তামাকের ব্যবহার কমাতে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। বিশেষ করে পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনকে শতভাগ তামাকমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ৭ ধারায় ‘ধূমপান এলাকা’ রাখার বিধান বাতিল করতে হবে। তিনি বলেন, দোকানে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, সচিত্র সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি করা এবং বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ করা জরুরি।
দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)। তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের দুটো পথ রয়েছে। একটি হলো অর্থনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ, আরেকটি নিয়মকানুনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ। অর্থনীতিক নিয়ন্ত্রণ বলতে আমরা বুঝি করারোপ করে, দাম বাড়িয়ে এটির সহজলভ্যতা কমিয়ে নিয়ে আসা। আর অন্যটি হলো, আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা। যেমন- পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করা, সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে অসুস্থতার যে ছবি আছে সেটির আয়তন বড় করে দেওয়া, শিশুদের কাছে বিক্রি বন্ধ করা, ভয়াবহ প্রভাবগুলো তুলে ধরার মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা।
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, তামাকের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া ও সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন। ধাপে ধাপেই এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কারণ, সরকার এখান থেকে বড় রকমের একটি রাজস্ব পায়। বিকল্প কোনো রাজস্ব ব্যবস্থা না করে তো এটি বন্ধ করে দেওয়া কঠিন। অর্থনৈতিক চাকা বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাবনা আমরা সরকারকে যতই দেই, তারা সেটি শুনবে না।