জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু এবং তার স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। একই সঙ্গে গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান।
ইনুর বিরুদ্ধে মামলা : মামলায় অভিযোগ করা হচ্ছে, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে’ অবৈধভাবে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া তার চারটি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকার ‘সন্দেহজনক লেনদেনের’ তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদক বলছে, ইনু ওই অর্থ ‘দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে’ আয় করেছেন, যা মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া ইনু ও তার স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪ টাকার ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে আরেকটি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ইনুর ‘অবৈধ উপার্জনের’ অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী সম্পদশালী হয়েছেন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ২৬ আগস্ট ইনুকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান : দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে’ ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার টেন্ডার বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি ‘পছন্দের’ ঠিকাদারদের কাছ থেকে ‘১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমিশন’ নিয়ে তাদের কার্যাদেশ দিয়েছেন। এসব অভিযোগ তদন্তের জন্য দুদক অনুসন্ধান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর থেকে শেখ সেলিম আত্মগোপনে রয়েছেন।
গত বছরের ২০ অগাস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শেখ সেলিম ও তার পরিবারের ৯১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব তলব করে।