হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের বান্ধবী ফারজানা সাকি এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) ডেপুটি কমিশনার মো. নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে ডা. জোবায়ের আহমেদ বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। বাদীর আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, “আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কোন সংস্থাকে তদন্ত করতে দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।” মামলার অভিযোগে বলা হয়, ডা. জোবায়ের আহমেদ ২০২০ সালের ১০ অগাস্ট থেকে কুমিল্লার বরুরা থানায় তার প্রতিষ্ঠান ডা. জোবায়ের মেডিকেয়ার অ্যান্ড প্যাথলজি সেন্টারে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। আসামী ফারজানা সাকি ব্যক্তিগত আক্রোশে নাজমুল ইসলামের সঙ্গে যোগসাজস করে তাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেন। নাজমুল ইসলাম ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর তাকে দেখা করতে বলেন। তবে তিনি না আসায় বারবার তাকে আসতে বলেন এবং হুমকি-ধামকি দেন। জোবায়ের আহমেদ ১৫ ডিসেম্বর নাজমুল ইসলামের সাথে দেখা করেন জানিয়ে মামলায় বলা হয়েছে, “সেখানে যাওয়ার পর দেখতে পান ফারজানা সাকি আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। জোবায়ের আহমেদ তাকে ডেকে আনার কারণ জানতে চান। তখন নাজমুল ইসলাম বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। ফারজানা সাকি মারের দৃশ্য ভিডিও করেন। পরে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করেন। বাদী অভিযোগ করেছেন, নাজমুল ইসলাম পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করান। মামলায় বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি জোবায়ের আহমেদকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে আসেন নাজমুর ইসলাম। ওইদিন ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্ট থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে হেফাজতে নিয়ে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন। তাকে রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই বছরের ৩ এপ্রিল জামিন পান চিকিৎসক জোবায়ের আহমেদ।
রাজধানী
হেফাজতে নির্যাতন
মোস্তফা জব্বারের বান্ধবী ও সিটিটিসি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের বান্ধবী ফারজানা সাকি এবং