বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের প্রস্তাব বাতিল ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) বিভাগের স্বার্থ সংরক্ষণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত সোমবার সকালে বেবিচক সদর দপ্তরের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। তবে বেবিচক বলছে, নতুন বাহিনী গঠনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিক্ষোভকারীরা এভসেক বিভাগকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র বন্ধ, বেবিচকের অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন, কাঠামোগত শক্তিশালীকরণ নিশ্চিতকরণ, এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার অ্যাক্টের আওতায় বিমান বাহিনীর সদস্য প্রত্যাহার এবং পরিচালনা পর্ষদের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের স্বনির্ভরতা নিশ্চিতের দাবি জানান।

বিক্ষোভের একপর্যায়ে তারা উত্তরা সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা চলা এই অবরোধে বিমান চলাচল সংশ্লিষ্ট যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা সদর দপ্তর থেকে মিছিল নিয়ে মূল সড়কে যান। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি তাদের শান্ত করে সদর দপ্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যান। বিমানবন্দর থেকে বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারসহ দাবিগুলো না মানা হলে তারা আরও বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

কর্মচারীদের বিক্ষোভের বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক জানিয়েছে, সম্প্রতি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি নতুন বাহিনী গঠনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

এ ধরনের কোনো প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি এবং বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। বেবিচক জানায়, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিমানবন্দর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঘিরে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে।