রাজধানীর খিলক্ষেতে ধর্ষণের শিকার হওয়া ছয় বছরের শিশুটির শরীরে ‘ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফরেনসিক পরীক্ষা করে এ আলামত মিলেছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়ক সাবিনা ইয়াসমিন এ বিষয়ে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে।

এদিকে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হওয়া কিশোরের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানান ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পৃথক আরেকটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খিলক্ষেত থানার ওসি কামাল হোসেন। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেতে একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ ১৪ বছরের এক কিশোরকে আটক করে। গাড়িতে করে ওই কিশোরকে থানায় নিয়ে আসার সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন খিলক্ষেত বাজারের কাছে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা ছেলেটিকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। ওই সময় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের ৬ সদস্য আহত হন ও একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গতকাল বুধবার ওসি কামাল হোসেন বলেন, গণপিটুনির শিকার কিশোর ও ধর্ষণের শিকার শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহত তিন পুলিশ এখনো হাসপাতালে রয়েছেন। তবে আহত পুলিশরা এখন শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার শিশির কুমার ঘোষ বলেছেন, অভিযুক্ত কিশোরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ‘শঙ্কামুক্ত নয়’। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক শিশির কুমার।

এদিকে পুলিশের ওপর হামলায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন মোবারক হোসেন সজীব (১৮) ও ইউসুফ (১৯)। খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত কিশোরকে (১৬) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে কিশোর এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি। ওসি বলেন, পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে উত্তেজিত জনতাকে আসামী করে মামলা করেছে। মামলায় দুজনকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বাকি যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছিল তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।

মিরপুরে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ : রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে ৫০ বছর বয়সী এক নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় হামিদুল (৫৩) ও এনামুল হক (৩৮) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ওই নারী পেশায় সাংবাদিক বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। সোমবার রাতে ওই নারী তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করে তুরাগের বাসায় ফিরছিলেন।