রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাঈয়্যাৎ কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রুবাঈয়্যাৎ কবীর বলেন, বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৪৪৯ কিলোমিটার। উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬।
এটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচিত বলে জানান রুবাঈয়্যাৎ কবীর। ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে গত ১০ দিনে ৪ বার দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হলো। এই ভূমিকম্প সিলেটেও অনুভূত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন।
সিলেটে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে সিলেটে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের আশপাশে ও দেশের ভেতরে ছোট বা মাঝারি আকারের ভূমিকম্প বেড়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ৫৩টি ভূমিকম্প হয়। এটি ছিল আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এভাবে ছোট বা মাঝারি ভূমিকম্পের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াটা বড় ভূমিকম্পের পূর্বলক্ষণ বলে মনে করছেন ভূমিকম্পবিশেষজ্ঞরা। ঐতিহাসিক ভূমিকম্পের পরম্পরা বিশ্লেষণ এবং দিন দিন সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই এমনটা মনে করছেন তারা।