গাজীপুর মহানগরীতে যানজট নিরসনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (জিসিসি) ১০০ জন অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করেছে। পাশাপাশি, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য মাত্র ৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর গোশত বিক্রির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত জনবল : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগের কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অনুরোধে যানজট নিয়ন্ত্রণে জিসিসি ১০০ জন অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করেছে।
এই জনবল ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
এর আগে, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি জিএমপির পুলিশ কমিশনার ড. মোঃ নাজমুল করিম খান এক স্মারকের মাধ্যমে যানজট নিরসনে অতিরিক্ত জনবল চেয়ে আবেদন করেন।
গাজীপুর দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পাঞ্চল হওয়ায় এখানে বিসিক শিল্প নগরী, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়ালটন, মাইওয়ানসহ প্রায় ২,৫০০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন লাখো শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ চলাচল করায় নগরীতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশাপাশি চট্টগ্রাম-উত্তরবঙ্গ বাইপাস সড়কেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
এছাড়া, চলমান ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বিআরটি প্রকল্পের কাজ যানজটের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। জিসিসির নতুন ১০০ জন জনবল নিয়োগের ফলে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা করছে।
স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ৫০০ টাকায় গোশত বিক্রি : ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য স্বল্পমূল্যে গরুর গোশত বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর আটটি জোনে ১১টি গরু জবাই করে প্রতিজনকে ৫০০ টাকায় এক কেজি গোশত দেয়া হয়।
জিসিসির প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, “বাজারে মাংসের উচ্চমূল্যের কারণে নি¤œবিত্ত মানুষের পক্ষে গোশত কেনা কঠিন হয়ে উঠেছে। তাই ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এই বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, প্রতিটি পরিবার সর্বোচ্চ এক কেজি গোশত কেনার সুযোগ পেয়েছে। এ উদ্যোগের আওতায় ২৬ রমজানে ১১টি পয়েন্টে ৫-৬ মণ ওজনের ১১টি গরু জবাই করে গোশত বিতরণ করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এই মানবিক উদ্যোগ নি¤œ আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।