রাজধানী
ছাত্রলীগ নেতা ভাগিনাকে বিশ্বাস করে যা পেলেন মামা
কথায় আছে চোরের নাই কোন শ্বশুড়বাড়ি। মানে হলো- সুযোগ পেলে শ্বশুড়বাড়িতেও চুরি করতে ছাড়ে না চোর। তেমনি এক ছাত্রলীগ নেতাকে বিশ্বাস করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন মামা মো. মুর্শিদ উদ্দিন। ভদ্রলোক মুর্শিদ উদ্দিন থাকেন ঢাকাতে।
Printed Edition

কথায় আছে চোরের নাই কোন শ্বশুড়বাড়ি। মানে হলো- সুযোগ পেলে শ্বশুড়বাড়িতেও চুরি করতে ছাড়ে না চোর। তেমনি এক ছাত্রলীগ নেতাকে বিশ্বাস করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন মামা মো. মুর্শিদ উদ্দিন। ভদ্রলোক মুর্শিদ উদ্দিন থাকেন ঢাকাতে। ভাগিনা মাহমুদুল হাসান টুটুল থাকেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে। মামা মুর্শিদ উদ্দিনের অভিযোগ, ভাগিনা টুটুল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ইউনিয়ন সভাপতি ছিল। তিনি যখন পবিত্র হজ্জ পালন করতে যান তখন কিছু জমি বিক্রি করেন ভাগিনা টুটুলের কাছে। কিন্তু জমি দলিল করার সময় নির্ধারিত জমির চেয়ে আরও ২৪ শতক বেশি দলিল করে নেন। তাও আবার বাড়ির ওয়ালের ভিতর ভিটা জমি থেকে। মামা মো. মুর্শিদ উদ্দিনের সন্দেহ ভাগিনা তার গ্রামের বাড়ি দখলের পাঁয়তারা করছেন। ভাগিনাদের আচার আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে।
মামা মো. মুর্শিদ উদ্দিন দৈনিক সংগ্রামকে জানান, ২০১০ সালের বোনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান টুটুলের কাছে কিছু জমি বিক্রি করে হজে¦ যান। জমির টাকা বাবদ ১০ লাখ টাকা কোন ডকুমেন্ট ছাড়াই দিয়ে মামার বিশ্বাস অর্জন করেন। এই বিশ্বাস অর্জনের আড়ালে ছাত্রলীগ নেতা ভাগিনা মামার সম্পত্তি আত্মসাতের ফাঁদ পাতেন। হজ¦ থেকে ফিরে এসে তিনি ভাগিনাকে জমি দলিল করে নেওয়ার তাগাদা দেন। ভাগিনা কিছু বলেন না। ততদিনে ভাগিনা টুটুল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে একটি চক্র তৈরি করেন; যাতে দলিলটা দ্রুত হয়ে যায়।
সুযোগ বুঝে ভাগিনা মামাকে সাব রেজেষ্ট্রি অফিসে ডাকেন এবং জমির দলিল সম্পন্ন করেন। বিশ্বাস করে কোন প্রশ্ন ছাড়াই দলিলে টিপ সহি দেন মামা। জমির দলিল শেষ করে দ্রুত খারিজও সম্পন্ন করেন ভাগিনা টুটুল।