রাজধানী
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
আজ ৮ই মার্চ শনিবার, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর কৃতিত্বকে স্মরণ ও সম্মান জানাতে এই দিনটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।
Printed Edition
আজ ৮ই মার্চ শনিবার, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর কৃতিত্বকে স্মরণ ও সম্মান জানাতে এই দিনটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী উদযাপন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ এই দিনটির শুরু। সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুঁচ কারখানার নারী শ্রমিকরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে গ্রেপ্তার হন বহু নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারী শ্রমিক ইউনিয়ন’।
১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়েছিল। আমেরিকার তৎকালীন সক্রিয় সোশ্যালিস্ট পার্টি ১৫,০০০ নারীর স্মরণে দিনটি উদযাপন করেছিল। যারা কঠোর কাজের বিনিময়ে কম মজুরির বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে প্রতিবাদ করেছিল। এই দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের চিন্তাটা মাথায় আসে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ও সমাজতান্ত্রিক কর্মী ক্লারা জেটকিনের। তিনি তার এই চিন্তাটা জানান ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে নারী শ্রমিকদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। সেখানে ১৭টি দেশের ১০০ জন নারী উপস্থিত ছিলেন, এবং তারা সর্বসম্মতিক্রমে তার এই প্রস্তাব মেনে নেন।
তবে ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের এক মিলিয়নেরও বেশি লোক আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেছিল। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আর এই দিবসের শতবর্ষ উদযাপিত হয় ২০১১ সালে।