রাজধানী
৭ মাসে কারাগারে ১২ জনকে চাকরিচ্যুত শাস্তি পেয়েছে ২৭০ ------------আইজি প্রিজন
কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেছেন, গত সাত মাসে কারা অধিদপ্তরের ১২ জনকে চাকরিচ্যুত, ৬ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর, ৮৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
Printed Edition
কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেছেন, গত সাত মাসে কারা অধিদপ্তরের ১২ জনকে চাকরিচ্যুত, ৬ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর, ৮৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, ২৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি, বিভাগীয় মামলা হয় ২৬০ জনের বিরুদ্ধে, ২৯ জনকে কৈফিয়ত তলব, ২১ জনকে চূড়ান্ত সতর্ক, ৩৯ জনকে তাৎক্ষনিক বদলি এবং ১০২ জনকে প্রশাসনিক কারণে বিভাগের বাইরে বদলি করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে কারা অধিদপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কারা অধিদপ্তরে নিয়ম ভঙ্গকারী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না এবং নিয়ম ভঙ্গকারীদের অতি দ্রুততার সঙ্গে জাবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কারা সদর দপ্তর নিশ্চিত করছে, বর্তমান প্রশাসন প্রমাণসহ যেকোনো ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিন্দুমাত্র বিলম্ব করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনোবল বৃদ্ধিসহ তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও নানা পদক্ষপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন ব্যতিত সৎ, যোগ্য, কর্ম-উদ্যোমী ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং স্থাপনায় পদায়ন।
এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে-জনবল সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে নতুন ১৮৯৯টি পদ সৃষ্টি করা, দীর্ঘ ১৪ বছর পর সিনিয়র কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জট খোলা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্জিত ছুটি নিশ্চিতকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রত্যাশা অ্যাপসের মাধ্যমে সর্স্তরের মতামত প্রকাশের ব্যবস্থাকরণ, একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত থেকে অনিয়মের সিন্ডিকেটকারীদের পোস্টিংয়ের আওতায় আনা, সব পদবীর জন্য নতুন প্রশিক্ষণ নীতিমালা প্রণয়ন, সবার মতামত গ্রহণ করে নতুন নিয়োগবিধির খসড়া চূড়ান্তকরণ, স্বাস্থ্য স্কিমের আওতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্ধিত সহায়তা প্রদান, পরিবার নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় আনুতোষিক বৃদ্ধি, টিম ট্র্যাকারের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ। এছাড়া বাংলাদেশ প্রিজনস অ্যান্ড কারেকশন সার্ভিসেস অ্যাক্টস এর খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। কারা গোয়েন্দা ইউনিটকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও কারা কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে কারা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তা কার্যক্রম বৃদ্ধির উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।