রাজধানী
রমযানে নিত্যপণ্যের বাজার
অধিকাংশ পণ্যে স্বস্তি ॥ লেবু-বেগুনে অস্থিরতা
বিগত প্রায় দেড়যুগ পর এবারের রমযানের নিত্যপণ্যের বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল ছিল। অতীতের বছরগুলোতে রমযান আসলেই অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পণ্যের দাম বাড়িয়ে রোযাদারদের নাভিশ্বাস তুলেছে। এবার এমনটি লক্ষ্য করা যায়নি।
Printed Edition
বিগত প্রায় দেড়যুগ পর এবারের রমযানের নিত্যপণ্যের বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল ছিল। অতীতের বছরগুলোতে রমযান আসলেই অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পণ্যের দাম বাড়িয়ে রোযাদারদের নাভিশ্বাস তুলেছে। এবার এমনটি লক্ষ্য করা যায়নি। অধিকাংশ পণ্যের দামে স্বস্তি ছিল। কিন্তু কয়েকটি পণ্যে অস্থিরতা ছিল চরমে। অধিকাংশ পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও দাম কমেনি। এদিকে লেবু ও বেগুন রমযানের শুরুতে অস্থিরতা তৈরী করলেও এখন কিছুটা দাম কমেছে। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা আর বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে চলতি সপ্তাহে মুরগির দাম কমেছে। বাজারগুলোতে আলু আগের দামে বিক্রি হলেও পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, সরবরাহ কমে যাওয়ায় শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে শিম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বড় আকারের ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি বড় সাইজের ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, পাকা টমেটো প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, মটরশুটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা এবং শশা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা কেজি, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুরমুখি ১২০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে লেবুর হালি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ধনে পাতা ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৮০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লালশাক ১০ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, পালংশাক ১০ টাকা, কলমিশাক তিন আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা এবং ডাটাশাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারে আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বগুড়ার লাল আলু ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে আদা ১৪০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন দেশি ১২০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা, মিনিকেট চাল ৮২ থেকে ৯০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৪০ টাকা কমে সোনালি কক মুরগি ২৭০ টাকায় এবং সোনালি হাইব্রিড ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে মাছের বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। এসব বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১৭০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকার ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বড় বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কোরাল মাছ ৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গরুর গোশত কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার গোশত ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির গোশত কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ডজন, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।