রাজধানী
পাঁচ বছরে ছয় হাজার নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার
নারীর প্রতি সহিংসতায় সারা দেশে চরম উদ্বেগ
একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশ তোলপাড়। গত বৃহস্পতিবার মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে আট বছরের এক শিশু। একই দিন কুমিল্লার লাকসামে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বাকপ্রতিবন্ধী এক তরুণী।
Printed Edition

একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশ তোলপাড়। গত বৃহস্পতিবার মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে আট বছরের এক শিশু। একই দিন কুমিল্লার লাকসামে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বাকপ্রতিবন্ধী এক তরুণী। এদিকে গত বুধবার রাজধানীতে মেট্রোরেলে এক তারুণী ও শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া শাহবাগ এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফ অর্ণব।
এ ঘটনার রেষ না কাটতেই ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নয়াবাড়ী এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী (২০)। ওই নারী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গণঅভ্যুত্থানের পর সারা দেশে নারীর প্রতি যৌন নিপীড়ন, হয়রানি, হিংসা-বিদ্বেষসহ নানা ধরনের নিপীড়নের ঘটনা বেড়ে চলেছে। এতে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার জন্য বলছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এসব ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সামাজিকভাবে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নারী হয়রানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এ পর্যন্ত নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছি। এদিকে মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা বাস্তাবায়ন করতে বলা হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অন্যদিকে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ধর্ষণের মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আইন পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ধর্ষণের মামলা ৯০ দিনে শেষ করতে হবে। এছাড়া ধর্ষণের তদন্ত ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং ধর্ষণ মামলা নিষ্পত্তির আগে আসামীকে জামিন দেওয়া হবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পারিবারিক শিক্ষার অভাব, অসুস্থ মানসিকতা, দুর্বল আইনকানুনসহ নানা ধরনের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে সমাজে, রাষ্ট্রে এবং পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত নিকৃষ্ট কাজ বেড়েই চলেছে। তার মধ্যে ধর্ষণ একটি, যা প্রতিনিয়তই ঘটছে। বাংলাদেশেও দিনে দিনে বাড়ছে ধর্ষণের মতো অপরাধের সংখ্যা। সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশ সরব হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠছে, কেন বাড়ছে ধর্ষণের মতো পৈশাচিক অপরাধের ঘটনা? এক্ষেত্রে দেশের আইনে শাস্তির বিধান কি অপরাধ বিবেচনায় কম? নারীর প্রতি সহিংসতা সমাজের একটি দীর্ঘকালীন ব্যাধি। যুগ যুগ ধরে চলমান এই ব্যাধির শেষ কোথায় তা কেউ বলতে পারে না। যুগ যুগ ধরে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সরকারের পাশাপাশি নারী ও মানবাধিকার সংগঠন বহুমাত্রিক কাজ করছে। কিন্তু নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা তো কমছেই না, বরং ধরনে ও মাত্রায় বাড়ছে। এমনকি বৃদ্ধ ও শিশুরাও ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। আবার ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, সাইবার বুলিং, সামাজিক মাধ্যমের আইডি হ্যাকের মতো ঘটনাও ঘটছে।
এদিকে দেশে ধর্ষণ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, নারী ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা একটি মারাত্মক জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এজন্য ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদের ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ফ্রি সেক্স, লিভিং টুগেদারের মতো অশ্লীল কনসেপ্ট ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে ধর্ষণের মতো ঘটনা বাড়ছে। বাইরের দেশে এসবের ফলে পিতার পরিচয়হীন বহু সন্তানের জন্মগ্রহণ করছে। তাদের দেশে সিঙ্গেল মাদার কনসেপ্ট গ্রো করছে। এমন পশ্চিমা সংস্কৃতি আমাদের দেশে নিয়ে আসার জন্য একটা গোষ্ঠী চেষ্টা করছে। এসবের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করবে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। রোববার দুপুর আড়াইটায় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। ক্রমাগত নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশে নারী নির্যাতনসহ নারীদের হেনস্থার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার প্রবণতা বিপজ্জনক। এ দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর প্রতি সহিংসতা, ইভটিজিং, ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। নাহিদ ইসলাম বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর প্রতি সহিংসতা, ইভটিজিং, ধর্ষণের মতে ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অপরদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূস আহমাদ মাগুরায় শিশু ধর্ষণসহ সাম্প্রতিক বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ধর্ষণ সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধ। আর শিশু ধর্ষণের মতো ভয়ংকর অপরাধ আর কিছু হতে পারে না। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। নারী নির্যাতনসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
৫ বছরে ৬ হাজার ধর্ষণ: ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে দেশে অন্তত ছয় হাজার ৩০৫ জন নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৪৭১ জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু রয়েছে। চলতি বছরের গত দুই মাসে দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কমপক্ষে ১০৭ জন। যাদের মধ্যে ৬৬ জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু রয়েছে। এ সময় ২২৪ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিজস্ব অনুসন্ধানে এসব তথ্য সংগ্রহ করে।
পুলিশ সদর দপ্তরের ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে দেশে নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ১৭ হাজার ৫৭১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে গত জানুয়ারি মাসে মামলা হয়েছে ২৪১টি।পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৯৪৯টি, ২০১৯ সালে ৫ হাজার ৮৭২টি, ২০২০ সালে ৬ হাজার ৫৫৫টি ও ২০২১ সালে ৬ হাজার ৩৪১টি ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে রাজধানী ঢাকায় ৩ হাজার ৪২টি ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক নারী ২ হাজার ৪৭০ জন এবং শিশু ৫৭২ জন। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্ষণ মামলা হয়েছে ৫২৩টি। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক নারী ৪৩০ জন এবং শিশু ৯৩ জন।
ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের ঘটনা আগে-পরে: বছরের প্রতিটি মাস, সপ্তাহ, দিনে দেশের কোনো না কোনো স্থানে ঘটেছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। এসব ঘটনার একটার রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে এসেছে অন্য ঘটনা। বছরজুড়ে এসব ঘটনার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা তো ছিল। এর পাশাপাশি দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, উত্ত্যক্তকরণ, নারী ও কন্যাশিশু পাচার, এসিডদগ্ধ, যৌতুক, মানসিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, গৃহকর্মী নির্যাতন, আত্মহত্যা, ফতোয়া, বাল্যবিবাহ, সাইবার ক্রাইমের ঘটনাসহ রয়েছে আরও অগণিত ঘটনা। এসব ঘটনার সাক্ষ্য এ দেশের গণমাধ্যম। বছরজুড়ে নারী নির্যাতনের এমন আরও অনেক ঘটনা ছিল, যার কোনো নথি থানায় লিপিবদ্ধ হয়নি। আবার কিছু ঘটনা মাটির নিচে চাপা পড়ে চিরতরে হারিয়েও গেছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সারা দেশে ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে মোট ৪০১ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ‑পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৪ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন। ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে ১০৯ জন। এর মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টার পর হত্যা করা হয় ১ জনকে। আসকের পক্ষ থেকে ৩১ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে এই প্রতিবেদন পাঠানো হয়। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ২১ জন নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের কারণে মারা যায় ১ জন। আর রহস্যজনক মৃত্যু হয় ৬ জনের। অন্যদিকে এ বছরে অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছে ১৪ জন নারী। আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা যায়, ২০২৪ সালে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ১৬৬ জন নারী। এ ছাড়া উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ২ জন ও খুন হয়েছে ৩ জন নারী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ৫২৩ জন নারী। এর মধ্যে নির্যাতনের কারণে মারা গেছে ২৭৮ জন এবং আত্মহত্যা করেছে ১৭৪ জন।
২০২৩ সালে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ৫০৭ জন নারী। অন্যদিকে ২০২৪ সালে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৭৭ নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যার শিকার হয় ৩৬ জন এবং আত্মহত্যা করে ৭ নারী। আবার মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রেরিত ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন ২০২৪’ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালে ১ হাজার ১৫১টি নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৮১টি নারী ও ৩৩১টি শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ধর্ষণের ১৯২টি ঘটনা ঘটেছে বছরটিতে। দলগত ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮২ জন নারী, ধর্ষণ-হত্যার শিকার হয়েছে ৭ জন, ধর্ষণের চেষ্টার শিকার ১০৮ জন ও যৌন হয়রানির শিকার ১৩৮ জন। অ্যাসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছে ৯ জন নারী। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬২। অপরদিকে ৩৬ জন প্রতিবন্ধী নারী ও শিশু বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হয়েছে। গতকাল এ প্রতিবেদন গণমাধ্যমে পাঠায় এমএসএফ।