ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সোমবার রাজধানী থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

সিআইডির পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়, ১৩৩ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে করা মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করবে সিআইডি। মালিবাগে সিআইডির সদর দফতরে ব্রিফ করা হবে।

এর আগে অবশ্য সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলে, অনুমোদনহীন গরু আমদানি ও প্রতারণার মামলায় ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন।

গত বছর কুরবানির ঈদে ইমরানের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় (প্রাথমিক দর) ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন তৎকালীন এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। এরপর আলোচনায় আসে সাদিক অ্যাগ্রো খামার।

বেশি দামে গরু বিক্রি করে আলোচিত ছিল সাদিক অ্যাগ্রো। দেশে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের ১৮টি গরু আমদানিও করেছিল সাদিক অ্যাগ্রো। কাস্টমস বিভাগ বিমানবন্দরে সেই গরু জব্দ করে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অবশ্য কৌশলে সেই গরু সাদিক অ্যাগ্রোকেই দিয়েছিল।

গত জুলাই মাসে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ছয় কর্মকর্তাকে আসামী করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজি মতিউর রহমান শেখ বলেন, তাকে অর্থপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে তাকে।

এর আগে ইমরান হোসেনের ২৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করে আদালত। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে।

এর আগে কোভিড মহামারির সময় আলোচনায় আসে সাদিক অ্যাগ্রো। ২০২১ সালের জুলাইয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়ে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে আসা নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের ১৮টি গরু। ‘শাহিওয়াল’ নাম দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গরুগুলো আমদানি করেছিল সাদিক অ্যাগ্রো। ওই সময় গরু আমদানির প্রতিটি নথি জাল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন শুল্ক কর্মকর্তারা। সে সময় গরু আমদানির বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন।