DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

রাজধানী

ঢাকা উত্তর

মৃত্যু সনদ নিতে ঘুস গণশুনানিতে কাঁদলেন নাগরিক

শিক্ষকের মৃত্যু সনদের জন্য সাত হাজার টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। এছাড়া জন্মনিবন্ধনসহ নানা কাজেও দিতে হয় উৎকোচ। সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত রাজস্ব দেন তবুও পান না কাক্সিক্ষত সেবা। এমন বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন

স্টাফ রিপোর্টার
Printed Edition
Default Image - DS

শিক্ষকের মৃত্যু সনদের জন্য সাত হাজার টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। এছাড়া জন্মনিবন্ধনসহ নানা কাজেও দিতে হয় উৎকোচ। সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত রাজস্ব দেন তবুও পান না কাক্সিক্ষত সেবা। এমন বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন সাত্তার চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। নাগরিক সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার গণশুনানির আয়োজন করে ডিএনসিসি। সেখানেই কথা বলতে গিয়ে কাঁদেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাত্তার চৌধুরী। মোল্লারটেক, ইরাশাল এবং আজমপুর নিয়ে গঠিত ৫০ নম্বর ওয়ার্ড ২০১৮ সালে ডিএনসিসির সঙ্গে যুক্ত হয়।

গণশুনানিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, বাজার কমিটির নেতা, পাড়া মহল্লাভিত্তিক সোসাইটি নেতা এবং যুবক, ছাত্র প্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজন অংশ নেন। তারা রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ-পার্ক, জলাবদ্ধতা, মশার উপদ্রব, সড়কবাতি না থাকা, জন্ম ও মৃত্যু সনদ নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের কাছে।

আবদুর সাত্তার চৌধুরী বলেন, ফি নিয়ে একটি জটিলতার কারণে তিন বছর ধরে ট্রেড লাইসেন্স করাতে পারছেন না তিনি। এ বিষয়ে আঞ্চলিক অফিস থেকে কোনো সহযোগিতাও পাচ্ছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ নিতে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় মানুষকে। সম্প্রতি আমার স্কুলের শিক্ষক মারা গেছেন। সেখানে মৃত্যু সনদ আনতে গিয়ে আমাকে সাত হাজার টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। জন্মনিবন্ধন করাতে গেলে ফি লেখা আছে ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা। কিন্তু আপনি যান, দেখবেন আপনার কাছে ২০০, ৩০০ টাকা চেয়ে বসে থাকে। এসব কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশরাফুল হক অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের কারণে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় হচ্ছে কম।