DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

রাজধানী

সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা

রাজধানীতে সড়কজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি চলাচলে জনদুর্ভোগ

জনবহুল শহর ঢাকার দেখভাল করার কাজে নিয়োজিত ২৬টি সেবা প্রদানকারী সংস্থা। এদের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। যার কারণে বছরের যে কোন সময় উন্নয়নের নামে যে কোন সংস্থার উন্নয়ন কাজ শুরু হলেই বাড়ে নগরবাসীর ভোগান্তি। এই ভোগান্তির মাত্রা গিয়ে উপচে পড়ে নগরের বাইরেও। ভোগেন ঢাকামুখী জনস্রোতও।

Printed Edition
Rood

তোফাজ্জল হোসাইন কামাল : জনবহুল শহর ঢাকার দেখভাল করার কাজে নিয়োজিত ২৬টি সেবা প্রদানকারী সংস্থা। এদের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। যার কারণে বছরের যে কোন সময় উন্নয়নের নামে যে কোন সংস্থার উন্নয়ন কাজ শুরু হলেই বাড়ে নগরবাসীর ভোগান্তি। এই ভোগান্তির মাত্রা গিয়ে উপচে পড়ে নগরের বাইরেও। ভোগেন ঢাকামুখী জনস্রোতও। উন্নয়নের জন্য সড়কের বুক চিরে যে কাটাছেঁড়া চলে, কোথাও খোঁড়াখুঁড়ি, কোথাও বিকল্প পথে চলাচলের নির্দেশনা-এসব মিলেই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক বেহাল নগরী। এই বেহাল নগরীর বেহাল সড়কের চলাচলে যে দুর্গতি, তা বাড়িয়ে দিচ্ছে নিত্যদিনের যানজটের মাত্রাকেও। উন্নয়ন সরঞ্জাম, ইট পাথর থেকে যে ধুলো বালির ওড়াওড়ি তা নগরীর বায়ু দূষণের মাত্রাকে ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। এ কারণে নগরবাসী ভুগছে শ্বাসকষ্টসহ নানা ব্যাধিতে। রমযান মাসে এসেও নিয়ন্ত্রণহীন এই নগরীর শ্রী ফেরাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর আগেও ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিন রোজার সময় সড়কে চাপ বাড়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে খোঁড়াখুঁড়ি না করতে বিভিন্ন সংস্থা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছিল ডিএমপি। সে অনুরোধের তোয়াক্কা করছে না কেউ।

গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দফতর একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পানি ও বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সেবার ক্ষেত্রে রাজধানীতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির জন্য এখন থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ঠিকাদারদের ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির অনুমতি নিতে হবে। আর এই শর্ত ভেঙে ঢাকা মহানগরী এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, রোজা ও ঈদ উপলক্ষে ঢাকায় যান চলাচলসহ মার্কেটকেন্দ্রিক জনসাধারণের চলাচল বাড়ে। অধিকাংশ জনসাধারণ সন্ধ্যার আগেই তাদের কাজ শেষ করতে চান। ফলে সড়কে যানবাহনের চাপ অত্যধিক থাকে। তবে চলতি রোজার সময়ও বিভিন্ন সংস্থা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ’সেবা সংক্রান্ত’ কাজে সড়ক কাটা অব্যাহত রাখায় সড়ক সংকুচিত হয়ে যায় এবং সংলগ্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সড়কে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি

ঈদের আগে রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কেই চলছে সংস্কার কাজ। ডিপিডিসি, ওয়াসা, তিতাস, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও নগর কর্তৃপক্ষের কাজ ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির অন্তত শতাধিক ছোটবড় সড়কে চলছে সরকারি সংস্থার খোঁড়াখুঁড়ি। এতে তীব্র যানজট ছাড়াও চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী। সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেয়া সময়সীমাকে তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন জামানত দিয়েও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

পরীবাগ, মালিবাগ, রাজারবাগ, মতিঝিল, গুলিস্তান, ইত্তেফাক মোড়, টিকাটুলি, কমলাপুর, খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, সবুজবাগ, বাসাবো, মুগদা, টিটিপাড়া, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, গোড়ান, সেগুনবাগিচাসহ অনেক সড়কেরই বেহাল অবস্থা। কোনোটা বছরখানেক সময় ধরে, আবার কোনোটা হয়তো কয়েক মাস ধরে পড়ে আছে একই রকম বেহাল অবস্থায়। আর যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে নিত্য অভ্যস্ত মানুষ যেন এক প্রকার মেনেই নিয়েছেন এসব।

একদিকে যানজট, আরেকদিকে ধুলাবালি - এতে নগরবাসীর কাহিল অবস্থা। মাসের পর মাস ধরে চলা এসব সংস্কার কাজে সবচে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন অফিস ও স্কুলগামীরা। এদিকে, অতিরিক্ত যানজট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশও।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু জামানত নিয়ে ঠিকাদারদের ছাড় দিলে হবে না; বাধ্য করতে হবে সময়মতো কাজ শেষ করার। নিয়মিত তদারকির পাশাপাশি ঠিকাদার নিয়োগেও হতে হবে আরও কঠোর। তাদের মতে, এসব সংস্কার কাজের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে আনতে হবে সমন্বয় ও পূর্ব প্রস্তুতি। একই সঙ্গে প্রয়োজন আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও দক্ষ কর্মী।

নীতিমালা মানার বালাই নেই

সংস্কারসহ বহুমুখী উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে নগরজুড়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে নীতিমালা মানার কোনো বালাই-ই নেই। কখনও ড্রেন নির্মাণ, কখনও বা ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন কিংবা বৈদ্যুতিক তার স্থাপনে চলে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির প্রতিযোগিতা। এক সংস্থা ক্ষতবিক্ষত করার পরদিনই হয়তো অন্য কোনো সংস্থা এসে সেখানেই খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন। জনদুর্ভোগ কিংবা পরিবেশ দূষণ নিয়ে কোরো কোনো মাথা ব্যথাই নেই।

সরকারি বিধান অনুযায়ী, দেশে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাস রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মাটি নরম থাকার অজুহাতে এই সময়টাই রাস্তা খননের মাত্রা বেড়ে যায়। আবার ‘ঢাকা মহানগরীর সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৯’ অনুযায়ী, দিনে খনন কাজ বন্ধসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করলে জরিমানার বিধান রাখা হলেও তার কোনো প্রয়োগ নেই। আবার বর্ষা মৌসুমে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে মূল ক্ষতিপূরণসহ অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ ফি জমা দেয়াসহ খননের রাবিশ/মাটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ না হলে জামানতের ফি দ্বিগুণ করার বাধ্যবাধকতা মানার কোনো বালাই-ই নেই।

বেহাল সড়কে চলাচলে দুর্গতি

রাজধানীর কুড়িল থেকে প্রগতি সরণি হয়ে মালিবাগ-যাত্রাবাড়ী সড়ক পিচ উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। খিলগাঁও ফ্লাইওভার থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে থেকে মুগদা বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়কের অবস্থা আরও নাজুক। মুগদা-মান্ডা সড়কটি এক বছরের বেশি সময় ধরে চলাচলের অনুপযোগী। রাজধানী ঢাকার সড়কের এমন বেহাল দশা শুধু এ কয়েকটি জায়গাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বড় সড়কগুলোর পাশাপাশি নগরীর বেশিরভাগ অলিগলিও খানাখন্দে ভরে গেছে। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন সংযুক্ত এলাকাগুলোর অবস্থা বেশি নাজুক। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নামমাত্র যে সংস্কার করা হচ্ছে, তা জনদুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর হচ্ছে না।

সরেজমিনে মুগদা বিশ্বরোড এলাকায় দেখা গেছে, অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত আর খানাখন্দে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। রাস্তার বেহাল দশায় অনেকেই আবার বিকল্প পথে চলাচল করছেন।

সড়কটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় পড়েছে। এ সড়কের সংস্কারে গত পাঁচ বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে সংস্থাটি। এরপরও টেকসই কোনো সমাধান পাননি এলাকাবাসী। তারা বলছেন, এ সড়ক সংস্কার কারা করেছে, কীভাবে করেছে, তা তদন্ত করে বের করা উচিত।

ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা। এ মোড়ের চারদিকের প্রায় সব সড়কই খানাখন্দে ভরা। এসব সড়কের বেশিরভাগ জায়গায় পিচ উঠে গেছে, কোথাও কোথাও বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। প্রতিটি সড়কে প্রচুর ধুলো উড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খুঁড়ে রাখা সড়কের ভোগান্তি। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে কোনোমতে চলছে যানবাহন। যানবাহনের দীর্ঘ সারিতে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতেই আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। দয়াগঞ্জ মোড় থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তাছাড়া কাকরাইল, নয়াপল্টন, মতিঝিল, মৌচাক, মানিকনগর, টিটিপাড়া, গোপীবাগ, সায়েদাবাদ, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, টিকাটুলী, নারিন্দা, দয়াগঞ্জ, খিলগাঁও এবং পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সড়কে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার ভাটারা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, নাছিরাবাদ, মোহাম্মদপুর, রাজাবাজার, মিরপুর, নতুন বাজার ও উত্তরার কয়েকটি সড়কসহ নগরীর অধিকাংশ অলিগলির সড়কের বেহাল অবস্থা। এর মধ্যে দক্ষিণখান এলাকার সড়কটি ডিএনসিসি মেরামত করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিএসসিসি এলাকায় ১ হাজার ৬৫৬ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে গত বর্ষায় ২১৪ কিলোমিটার সড়ক এবং ২৭ কিলোমিটার ফুটপাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ডিএনসিসি এলাকায় রয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার সড়ক। এর মধ্যে ১৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে মেরামত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংস্থা দুটির প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।

ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেনেজ সার্কেল) আরিফুর রহমান বলেন, ‘সড়ক মেরামত আমাদের নিয়মিত কাজ। যখন যেখানে প্রয়োজন সংস্কার করা হচ্ছে।’

ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘মেরামত দুভাবে করা হয়। কোথাও ছোট গর্ত থাকলে সেটা তাৎক্ষণিক সংস্কার করা হয়, যা তিন দিনের বেশি সময় লাগে না। আবার বড় সংস্কারের প্রয়োজন হলে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে।

ডিএমপির নির্দেশনা : ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মতি ছাড়া রাস্তা কাটাকাটি/খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু না করা। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কোনো রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ না করা। এ ক্ষেত্রে রাতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করে সকালে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

রাস্তা কাটার আগে যেসব বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, সেগুলো হল- কাজ শুরু এবং শেষ করার সময় (অর্থাৎ কোন তারিখে কাজ শুরু এবং শেষ হবে তা) আগেরই ঘোষণা করতে হবে এবং সে সময়ের মধ্যে অবশ্যই কাজ শেষ করতে হবে। রাস্তা খননের স্থান ও এর আগে-পরে ২০০ মিটার পর্যন্ত যথাযথ ট্রাফিক নির্দেশনা এবং ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট লাগাতে হবে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল অবশ্যই নিয়োগ করতে হবে। পথচারী ও যানবাহন চলাচলের জন্য অবশ্যই বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে। কাটা রাস্তা ব্যবহার উপযোগী করার জন্য লোহার শিট রাস্তা কাটার আগেই সেখানে আনতে হবে। রাস্তার একটা লেইন রাতে কাটা যেতে পারে, তবে সেটা অবশ্যই সূর্যোদয়ের আগেই ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। কোন অবস্থাতেই একই রাস্তার উভয় পাশে একসাথে খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না। ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধিসহ রাতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করতে হবে। কোনো রাস্তা রাতে সর্বোচ্চ সাতদিন খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করা যাবে এবং পরবর্তী তিন রাতের মধ্যে মেরামত করে দিতে হবে, এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিক-টেকনিশিয়ান নিয়োগ করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চেয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কোনো প্রতিষ্ঠান যদি রাস্তা কাটাকাটি-খোঁড়াখুঁড়ির এসব শর্ত ভঙ্গ করে ঢাকা মহানগরী এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কাজ বন্ধ করাসহ ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”