জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আলী রীয়াজ বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করে সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় ঐকমত্য গঠন করা সম্ভব। গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ও মতপার্থক্য থাকলেও অনেকে একই মতামত পোষণ করেন। সবার মতামত শোনা হবে। আমি আশা করি আমরা সংলাপের মাধ্যমে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব।

তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আপনারা (খেলাফত মজলিস) অংশগ্রহণ করছেন। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের কাজ শুরু করেছি এবং বেশি সময় দিতে পারিনি। তবে আপনারা যে আন্তরিক মতামত দিয়েছেন তার ভিত্তিতে আমরা আমাদের আলোচনা চালিয়ে যাব। তিনি বলেন, সংলাপ শুধু তাদের দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, এতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে প্রথম সংলাপ করে কমিশন।

সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর আলোকে রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মতামত গ্রহণ করে কমিশন। পরে কমিশন স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে সুপারিশের একটি কপি পাঠায়। ১৩ মার্চের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সুপারিশের ওপর সুনির্দিষ্ট মতামত চায় কমিশন।

এদিন বাংলাদেশ লেবার পার্টিও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিতে যান। সেখান থেকে বের হয়ে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর উল্লেখ করে দলটির বিচার দাবি করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।

দলটির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ চাই। শুধু দল নয়, তাদের দোসর জাতীয় পার্টিও সমানভাবে দোষী। ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচন সম্ভব হয়েছে জাতীয় পার্টিসহ আরও কিছু দোসর সঙ্গে থাকার কারণে। যে দোষে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি, একই কারণে জাতীয় পার্টিসহ দোসরদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বলেছি।

শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় বসানোর জন্য বিভিন্নভাবে উদ্যোগের চেষ্টা চলছে দাবি করে ইরান বলেন, এটা রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। নাৎসি পার্টির যেমন রাজনীতি করার অধিকার নেই, আওয়ামী লীগেরও তেমন অধিকার নেই।