ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে জনসাধারণের আবেদনকে প্রাধান্য দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আইন সংশোধনের পরেই কার্যক্রম শুরু করবে সংস্থাটি।

জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে ১৩০টি আসনের সীমানায় বিভিন্ন সময় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগোলিক অখ-তাকেও আমলে নেওয়া হয়নি। অনেক উপজেলার বাসিন্দা এভাবেই পেয়েছেন অন্য উপজেলায় সংসদ সদস্য। ফলে সংসদ সদস্যকে পেতে যেতে হয় এক উপজেলায়, আর প্রশাসনিক কাজে যেতে হয় আরেক উপজেলায়। এ বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই এবারের সীমানা নির্ধারণ কাজে হাত দেবে ইসি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আমাদের পরিকল্পনা বলতে, জনসাধারণ যে দরখাস্তগুলো করছেন সেগুলো একটা প্রসেসে নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই প্রসেসে নিষ্পত্তি করতে গেলে আইন, বাস্তবতা, ভৌগোলিক অখ-তা, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রেখে এটাতে হাত দিতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান যে আইনটা আছে, সেটাতে সংশোধন আনতে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আইনের যে ক্লারিক্যাল মিস্টেক, সেটাতে এক-এর জায়গায় দুই হয়ে গেছে। এটা কারেকশন হলে পরে বিষয়টি ওপেন হয়ে যাবে। এতে ডিলিমিটেশনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন এগুলো করার সুযোগ আসবে।