অভয়নগর (যশোর) সংবাদদাতা : গ্রামাঞ্চলে বিচার কাজ সহজীকরণ করতে বর্তমান সরকারের গ্রাম্য শালিশী আদালতের সুফল পেতে শুরু করেছে জনগণ। কিছু কিছু মামলা নিষ্পত্তি ও তৎসম্পর্কীয় বিষয়াবলীর বিচার সহজ করার উদ্দেশ্যে একটি স্থানীয় মীমাংসামূলক তথা সালিশি আদালত গঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় যশোরের অভয়নগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে গত ১১ মাসে ১৯৬টি মামলা হয়েছে। ১৬৭ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে ।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের অভয়নগর উপজেলা সমন্বয়কারী সোনিয়া দে জানান, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৯৬টি মামলা গ্রহণ করা হয়। মামলাগুলোর মধ্যে ১৬৭টির নিষ্পত্তি করা হয়। ক্ষতিপূরণ ১৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। জমি উদ্ধার ৩০ শতক।

তিনি আরো জানান, ওই ১১ মাসে উপজেলার গ্রেমবাগ ইউনিয়নে গ্রহণ করা ২৯ মামলার মধ্যে ২৩টির নিষ্পত্তি হয়েছে। এছাড়া সুন্দলী ইউনিয়নে ১৫ মামলার ১৩টি নিষ্পত্তি, চলিশিয়া ইউনিয়নে ২৯ মামলার ২৯টি নিষ্পত্তি, পায়রা ইউনিয়নে ১৯ মামলার ১৬টি নিষ্পত্তি, শ্রীধরপুর ইউনিয়নে ২০ মামলার ১৭টি নিষ্পত্তি, বাঘুটিয়া ইউনিয়নে ৪৪ মামলার ৩৩টি নিষ্পত্তি, শুভরাড়া ইউনিয়নে ৩৩ মামলার ২৯টি নিষ্পত্তি এবং সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে ৭ মামলার ৭টিই নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তি না হওয়া মামলাগুলো চলমান রয়েছে।

স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘গ্রাম আদালত সক্রিয় হওয়ায় ছোট ছোট অনেক মামলার সহজ নিষ্পত্তি হচ্ছে। সঠিক বিচার পেলে সাধারণ মানুষের আস্থার ঠিকানা হতে পারে গ্রাম বাদালত।’

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলিম বলেন, ‘পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা থাকায় থানায় মামলা বেশি হয়। তবে অভিযোগ বিবেচনা করে অনেক বাদীকে গ্রাম আদালতে মামলা করতে পাঠানো হয়।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, ‘গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যে ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের এজলাস নেই, সেখানে এজলাস তৈরি করা হবে। আদালত সক্রিয় রাখতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’