* বিচারের নামে অবিচার হয়েছে * আইন শাস্ত্রের মৌলিক নীতিমালার প্রতি অবজ্ঞা করা হয়েছে * ন্যায়বিচারের চরম অবহেলা ঘটেছে * আদালতের পর্যবেক্ষণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আপিলে মানবতা বিরোধী মামলায় মৃতুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া এটিই প্রথম রায়।

গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ আজহারুল ইসলামের আপিল আবেদন মঞ্জুর করে এ রায় ঘোষণা করেন।

আপিল বিভাগের বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি ইমদাদুল হক, বিচারপতি মো. আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। বেঞ্চের সাত বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে এ রায় দিয়েছেন। রায়ে আপিল বিভাগ অবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় রাষ্ট্র ও আসামী উভয়পক্ষের আইনজীবী, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা ও তাদের দলীয় আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। এজলাস কক্ষ আইনজীবী ও জামায়াত নেতাদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভর্তি ছিল। সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতি এজলাসে উঠেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আইনি বিষয় তুলে ধরেন। এরপর রায় ঘোষণা শুরু হয় ৯টা ৫৫ মিনিটে। রায় ঘোষণার পর বিকেলে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ ৭ বিচারপতির স্বাক্ষরের ৩ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। ইতোমধ্যে রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেছে। কারাগারে মুক্তির আদেশ পৌছার পর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে আজ বুধবার সকালে এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পেতে পারেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। তিনি এখন পিজি হাসপাতালে কারাকর্তৃপক্ষের সেলে চিকিৎসাধীন আছেন। সেখান থেকেই তিনি মুক্তি পাবেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, অতীতের রায়ে বাংলাদেশসহ এই ভারতীয় সাব কন্টিনেন্টে ক্রিমিনাল বিচার ব্যবস্থার পদ্ধতি চেঞ্জ করে দেয়া হয়েছিল, এটা ছিল সবচাইতে বড় ভুল। আদালতের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেসমেন্ট করা ছাড়াই এটিএম আজহারুল ইসলাম সাহেবকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি travesty of truth অর্থাৎ বিচারের নামে অবিচার। যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আদালতে হাজির করা হয়েছিল, অতীতের আপিল বিভাগ তা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, বস্তুগত প্রমাণ এবং দাখিল করা আইনি যুক্তিতর্ক পুঙ্খানুপুঙ্খ পুনর্মূল্যায়নের পর আপিল বিভাগ বিবেচনা করছে যে, এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করা ছিল ফৌজদারি আইনশাস্ত্রের মৌলিক নীতিগুলোর প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা, যার ফলে ন্যায়বিচারের চরম অবহেলা ঘটেছে।

এ ছাড়া এ টি এম আজহারুল ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ সম্পর্কিত প্রমাণ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে তার পূর্বের ব্যর্থতা স্বীকার করছে আপিল বিভাগ। এই মৌলিক নীতিগুলো মেনে চলতে ব্যর্থতার ফলে ন্যায়বিচারের প্রতি চরম অবজ্ঞা করা হয়েছে।

আপিল বিভাগ বলেন, আদালত বিচারিক দায়িত্বের গভীর বোধের সঙ্গে স্বীকার করেন যে, তার পূর্ববর্তী রায়ে, তারা এ টি এম আজহারুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ ও তাকে দোষী হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আপিল বিভাগের পূর্ববর্তী রায়টি দুঃখজনকভাবে এতো গুরুতর প্রকৃতির ফৌজদারি কার্যধারায় যাচাই-বাছাই এবং ন্যায্যতার উচ্চমান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

আদালত বলেন, আপিল বিভাগ আরও দুঃখের সঙ্গে স্বীকার করেন যে, আগের রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের বৃহত্তর প্রেক্ষাপট এবং রাষ্ট্রপক্ষের মামলার অন্তর্নিহিত প্রমাণের দুর্বলতাগুলোর প্রতি যথাযথ বিবেচনা করা হয়নি। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্তকরণ এবং তার সাজা বহাল রাখা সম্ভব নয়।

আদালত আরও বলেন, আপিলকারী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস ও অবিলম্বে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।

আদালতে এটিএম আজহারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, ব্যারিস্টার আরমান, এডভোকেট এস.এম শাহজাহান, এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, এডভোকেট এস.এম কামাল উদ্দিন, এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকশত আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও প্রসিকিউশনের পক্ষে চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণে আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমীর ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন, এটিএম আজহারের পুত্র তাসনিম আজহার সুমন প্রমুখ।

রায়ের পর ব্রিফিং এ আইনজীবী এডভোকেট শিশির মনির বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এটিএম আজহারুল ইসলামকে সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। আজকে (মঙ্গলবার) থেকে, এখন থেকে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম একজন নির্দোষ ব্যক্তি। এই রায়ের মাধ্যমে আমরা মনে করি সত্য জয়ী হয়েছে, মিথ্যা পরাজিত হয়েছে। ইতোপূর্বে জামায়াতের এবং বিএনপির ছয়জন শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্ততপক্ষে পাঁচজন জেলে মৃত্যুবরণ করেছেন। দুনিয়ার ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন নির্যাতনের সামিল। এটিএম আজহারুল ইসলাম সৌভাগ্যবান, তিনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল বলে। আমরা মনে করি এ রায়ের মাধ্যমে সিন্ডিকেটেড ইনজাস্টিসের অবসান হয়েছে। আমরা এটাও মনে করি- এই রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আদালতের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে।

শিশির মনির বলেন, ফলশ্রুতিতে আজকে এটিএম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে। আমরা মনে করি এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সত্য বিজয়ী হয়েছে, মিথ্যা পরাভূত হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিশির মনির বলেন, আমরা মনে করি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অতীতের অনেক রায় সম্পর্কে এই রায়ে অনেক পর্যবেক্ষণ থাকবে। আমরা মনে করি সরকারের উচিত হবে- এই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পরে একটা রিভিউ বোর্ড গঠন করে অতীতের রায়গুলোকে পুর্নবিবেচনা করা, যেন মৃত্যু পরবর্তীতে হলেও যাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে, অবিচার করা হয়েছে, তাদের পরিবার, তাদের দল এবং এদেশের মানুষ যেন ন্যায়বিচার পেতে পারে।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের বলেছেন, ‘সত্যের জয়’ হয়েছে। আল্লাহর বাণী মিথ্যা হতে পারে না। সত্যের ওপর জুলুম করে কেউ টিকতে পারে না। আজ সেটিই প্রমাণ হলো।

তিনি বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করেছে, যারা অন্যায় করেছে, তাদের মুখ আজ উন্মোচিত। ওরা আমাদের নেতাদের ওপর অবিচার করেছে, জুলুম করেছে, এমনকি ফাঁসির সাজাও দিয়েছে। আমরা বারবার বলেছি, এসব রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আজকের রায়ে আমাদের বক্তব্যের সত্যতা ফুটে উঠেছে।

ডা. তাহের বলেন, আজহার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বহু মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছিল। কিন্তু দেশের মানুষ সচেতন ছিল। তারা জানতো, তিনি নির্দোষ। দেশের মানুষ সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিল, আছে।

তিনি আইনজীবী দল, দলের কর্মী এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই মামলা পরিচালনায় যারা ছিলেন, তারা আইনের পথেই লড়েছেন। অবশেষে আইনি প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।

ডা. তাহের আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মামলা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও একে একে সত্য উদ্ভাসিত হবে।

এদিকে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আজ এটিএম আজহারুল ইসলামের মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আমরা রায় গ্রহণের জন্য আপিল বিভাগে উপস্থিত ছিলাম। একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোনো রায়ের ব্যাপারে মন্তব্য করাকে আমি আইনসিদ্ধ মনে করি না। তবে আমরা শুনানিতে যে প্রসঙ্গে কথা বলেছিলাম, আজকের এই রায়ে আমরা তারই প্রতিফলন দেখতে পেয়েছি।

রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গনে জামায়াতের নেতকর্মীরা শুকরিয়া আদায় করে নামায আদায় করেন। নেতাকর্মীদের মধ্যে এক স্বস্তি বিরাজ করে।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে মৃত্যুদ-াদেশের বিরুদ্ধে এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। ওইদিন শুনানি শেষে রায়ের জন্য গতকালকের দিন ধার্য করেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় রায় ঘোষণা করা হলো।

গত ৬ মে এটিএম আজহারের আপিল শুনানি শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দ-াদেশ পান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম। এছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছরের কারাদ-াদেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদ- বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দ- বহাল রাখা হয়। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।

ওইদিন আদালতে আসামীপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (মরহুম) খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (মরহুম) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।

ওই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদ-ের রায়ের বিরুদ্ধে এটিএম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর তিনি আপিল করেন।