সরকারি কাজে বাধা ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় দ-িত জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শহিদুল ইসলাম বাবুলের আইনজীবী সাদেকুল ইসলাম ভুঁইয়া (জাদু) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শহিদুল ইসলাম বাবুল আজ আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে তার জামিন আবেদন করবো। আশা করছি, আদালত তার জামিন মঞ্জুর করবেন।
২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর শহিদুল ইসলাম বাবুলকে এক ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম কারাদ-ের পাশাপাশি দুই হাজার টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে সাতদিনের কারাদ- দেওয়া হয়। আরেক ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদ-, দুই হাজার টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে সাতদিনের কারাদ- দেন আদালত।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কক্সবাজার সফর শেষে গুলশান যাবেন। এসময় দলের নেতাকর্মীরা পল্টন এলাকায় সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। ভিআইপি রোড বন্ধ করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল ওইদিনই মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আতাউর রহমান। মামলার সব কার্যক্রম শেষে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর রায় দেন আদালত।