বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং তার ছেলে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। পত্রিকাটির এক সাংবাদিকের করা ‘চেক প্রত্যাখ্যাত’ হওয়ার মামলায় বিচারক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। মামলায় সমন জারির পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

দৈনিক কালের কণ্ঠের সাবেক সাংবাদিক (বর্তমানে সকাল সন্ধ্যা ডটকমের প্রতিবেদক) রাহেনুর ইসলাম গত ২৬ মে এ মামলা দায়ের করলে আদালত আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করে। কিন্তু আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় রোববার তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে বাদীপক্ষ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আমজাদ হোসেন মজুমদার বলেন, “আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”

মামলার বিবরণে বলা হয়, রাহেনুর ইসলাম ২০০৯ সালের ১ জুলাই থেকে দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক পদে চাকরি শুরু করেন। ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি পদত্যাগ করেন। ‘সার্ভিস বেনিফিট’ বাবদ তাকে ১০টি চেক দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুটি চেক নগদায়ন করা হয়।

বাকি আটটি চেকের মধ্যে এক লাখ ৯৬ হাজার ৭৮ টাকার দুটি চেক নগদায়নের জন্য রাহেনুর ইসলাম ইসলামী ব্যাংকের মুগদা শাখায় জমা দেন। কিন্তু ‘অপর্যাপ্ত তহবিল’ থাকায় ব্যাংক গত ২৩ মার্চ চেকগুলো ফিরিয়ে দেয়।

এরপর গত ৮ এপ্রিল বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ চারজনের নামে উকিল নোটিস পাঠান রাহেনুর ইসলাম। তারপরও টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা না করায় এ মামলা করেন তিনি।

আদালতের পরোয়ানা জারির বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ বা ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ভাষ্য জানা যায়নি।