নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিতে সহযোগিতার অভিযোগে ঢাকা কর অঞ্চল-৫ এর কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাকসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশন এ মামলার অনুমোদন দেয় বলে দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানান।

কর অঞ্চল-৫ এর কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাক, অতিরিক্ত কর কমিশনার গোলাম কবীর এবং উপকর কমিশনার লিংকন রায় এ মামলার আসামী হচ্ছেন। এর আগে গত ১০ জুলাই একটি করদাতা কোম্পানির আয়কর নথি গায়েব করে সরকারের ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগে ঢাকার কর অঞ্চল-৫, সার্কেল-৯০ (কোম্পানি) অফিসে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

দুদকের নথিতে বলা হয়, অভিযানের সময় ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কম কর নির্ধারণী আদেশের মূল ফাইলগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, এগুলো উদ্দেশ্যমূলকভাবে গায়েব করা হয়েছে। অভিযানে অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২২-২৩ করবর্ষের মাসিক কর নির্ধারণ রেজিস্ট্রার-৪ এর পৃষ্ঠা নম্বর ৩-এর ৪৪ ও ৪৫ নম্বর ক্রমিকের টিআইএনধারী একটি কোম্পানির অনুকূলে কর মওকুফ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

২০২০-২১ ও ২০২১-২২ করবর্ষের দুটি মামলার বিপরীতে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত আয়ের ভিত্তিতে কর দাবির পরিমাণ যথাক্রমে ৭২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ও ৭৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা, মোট ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। পরে মামলাগুলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অডিটের জন্য বেছে নেয়। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নথিতে রক্ষিত কর নির্ধারণী আদেশ অনুযায়ী কর দাবির পরিমাণ নির্ধারণ করেন যথাক্রমে শূন্য টাকা এবং ১ হাজার ২৯৯ টাকা, যা অস্বাভাবিক বলছে দুদক।