নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশে সন্নিবেশিত বিয়ের প্রলোভন সংক্রান্ত বিধান কেনো অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি হাবিবুল গনির নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এ রুল জারি করেন। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৭ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন সংক্রান্ত বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। গত ২৫ মার্চ জারি করা গেজেটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ- ২০২৫ এ ধারা ৯ (ক) এর পরে নতুন ধারা ৯ (খ) সন্নিবেশিত করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ”যদি কোন ব্যক্তি দৈহিক বলপ্রয়োগ ব্যতীত বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া ষোল বৎসরের অধিক বয়সের কোন নারীর সংগে যৌনকর্ম করেন এবং যদি উক্ত ঘটনার সময় উক্ত ব্যক্তির সহিত উক্ত নারীর আস্থাভাজন সম্পর্ক থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।”
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি না রাখার কারণে শুধু পুরুষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দেওয়ার বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি নাগরিক অধিকার ও ন্যায়বিচার পরিপন্থি। তাই বিধানটি বাতিল করার জন্য হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।’