তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে করা রিভিউ আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তি সংক্রান্ত শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
গত ২১ আগস্ট আইনজীবী শিশির মনির বিষয়টি দ্রুত শেষ করার অনুরোধ জানান। তিনি আদালতে বলেন, সামনে দীর্ঘ ছুটি শুরু হবে, তবে এ বিষয়ে সমাধান জরুরি। তালিকায় এলেও এখনো শুনানি হয়নি। এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে, তবে শুনানি শেষ করা সম্ভব হবে কি না নিশ্চিত নন। এরপর আদালত আজকের দিন ধার্য করেন।
২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করেই এ রায় দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। এর মধ্যে রয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও একই আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে কয়েকজন আইনজীবী রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট প্রথমে এ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করলেও ২০১১ সালে আপিল বিভাগ রায়ে তা বাতিল করে।
বাংলাদেশে সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে। এরপর ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়।