সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ধার্য থাকলেও তা হয়নি। আগামী ৩০ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১২১ বার পেছানো হলো। ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম।

পুলিশ ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক রোববার আদালতে হাজির হন। মামলার তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে মৌখিকভাবে তিনি আদালতকে জানান। পরে আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন।

এক যুগ পর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৪ নভেম্বর মামলার আগের তদন্ত সংস্থা র‌্যাবের কাছ থেকে মামলার নথিপত্র বুঝে নেয় পিবিআই। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।

সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র‌্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র‌্যাব। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দুজন জামিনে, বাকি ৬ জন কারাগারে আছেন।