১১৬ অনুচ্ছেদ সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ নয় বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। গতকাল সোমবার সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিতে এমনটা বলেন তিনি। এর মধ্যদিয়ে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ চন্দ্র রায়ের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হয়।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তবে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ থাকুক।

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ, ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ৭ আইনজীবী এই রিটটি করেন।

পরে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং এ সংক্রান্ত ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একইসঙ্গে বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় কেন প্রতিষ্ঠা করা হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়।

রিট আবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি দান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল। ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়।

পরে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ‘এবং সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা প্রযুক্ত হবে’ শব্দগুলো যুক্ত করা হয়। আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী আইন অসাংবিধানিক ঘোষণা করলেও ১১৬ অনুচ্ছেদের ওই বিধান বহাল রাখেন। রিট আবেদনকারী ৭ আইনজীবী হলেন, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও যায়েদ বিন আমজাদ।