অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে সাজা দিয়েছে সেটি আসামীরা যেদিন গ্রেফতার হবে সেদিন থেকে কার্যকর হবে।
গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার পর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, ‘মামলায় দুজন আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে। আর একজন রাজস্বাক্ষী হওয়ায় সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদ- দিয়েছে।’
তিনি জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে থাকা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে তিনটিতে সাজা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলায় যুগান্তরকারী রায় হয়েছে, যা প্রশান্তি আনবে ও বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরাতে যত ধরনের পদক্ষেপ আছেন তা নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে গতকাল মৃত্যুদ-ের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেনÑবিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামীর অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে। অন্য একটি অভিযোগ তাকে আমৃত্যু কারাদ- দেওয়া হয়েছে।
একটি অভিযোগে আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল –মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ মামলার রায়ের জন্য গত সোমবার দিন ঠিক করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।