জনগণের বেতনে ইউনিফর্ম পরে যারা গুমের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ও অভিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনীতে সম্পৃক্ত থাকলেও কর্মকর্তাদের অপরাধে দায় ব্যক্তি নিজের, এর দ্বায় কোনো বাহিনীর বা প্রতিষ্ঠানের নয় বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আজ বুধবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গুমের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ হাসিনার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদ ও র্যাবের সাবেক মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদসহ অন্যান্য আসামিদের মধ্যে অধিকাংশ র্যাবে ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা। যাদের কয়েকজন এখন নিজ নিজ বাহিনীতে কর্মরত।
তাজুল ইসলাম বলেন, গুমের ঘটনায় উঠে এসেছে কীভাবে র্যাব ও ডিজিএফআইকে ব্যবহার করে ভিন্নমতের লোকজনকে গোপন কক্ষে বন্দি রেখে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছে বছরের পর বছর। ডিজিএফআই পরিচালিত জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে বন্দি থাকা আব্দুল্লাহিল আল আযমি, মারুফ জামান, মাইকেল চাকমাসহ কয়েকজনের গুমের আসামি ডিজিএফআইয়ের সাবেক বেশ কয়েকজন মহাপরিচালকসহ ১৩ জন। তাদের কয়েকজন এখনও কর্মরত। আবার অনেকেই পালিয়েছেন। তবে প্রধান আসামি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেনর, এ ছাড়া র্যাবের গোপন কক্ষ টিএফআই সেলে বন্দি থাকা ব্যারিস্টার আরমান, আইনজীবী সোহেল রানাসহ বিশের অধিক গুমের তদন্তও শেষ হয়েছে। এই মামলায় আসামি শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান, তারেক সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ ও র্যাবের সাবেক কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জন।