অপহরণ-গুমের মামলায় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ সোহায়েলকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও শুনানির জন্য আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন।
গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আদালতে গতকাল শুনানির পর সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
জানা গেছে, ২০১২ সালে রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর থেকে ছাত্রশিবিরের কর্মী গোলাম মর্তূর্জা নিহিমকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। পরে আয়নাঘরে নিয়ে ৪৭ দিন আটকে রাখা হয়। সোহায়েলের নির্দেশে এ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ড্রোনে খুঁজতেন জুলাই আন্দোলনকারীদের, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইশতিয়াক, র্যাবের সাবেক ডিজি হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
জুলাই আগস্টের গণহত্যার মামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইশতিয়াককেও ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। চীফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে জানান, জুলাই আন্দোলন চলাকালে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ড্রোন উড়িয়ে ছাত্র জনতার অবস্থান নির্ণয় করে সে তথ্য র্যাব, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের দিতেন ইশতিয়াক। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামী ইশতিয়াক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন সিটিটিসি ও সাইবার ফরেনসিক বিভাগে। ইশতিয়াক সাবেক বিচারপতি আবু আহম্মেদ জমাদারের ছেলে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে মিরপুর এলাকার গণহত্যার মামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম মায়নুলের সাথে আসামী করা হয়েছে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেনকে হাজির করতে বলা হয়েছে ওইদিন।