আদালত
চট্টগ্রামে চাঁদা দাবির অভিযোগ
সাবেক এমপির ছেলেসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
চট্টগ্রামে চাঁদাবাজী ও মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির ছেলেসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে- জাহেদ মুরাদ, গোলাম রাব্বান, গোলাম তাওহিদ ও সাইফুল ইসলামকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
Printed Edition
চট্টগ্রামে চাঁদাবাজী ও মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির ছেলেসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে- জাহেদ মুরাদ, গোলাম রাব্বান, গোলাম তাওহিদ ও সাইফুল ইসলামকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন বাদি হয়ে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে চান্দগাঁও থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাটির বাদি পক্ষের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন আজাদ।
আদালত সূত্র জানায়, চান্দগাঁও থানার রাহাত্তারপুল আমান আলী মাস্টার পাড়া এলাকায় জমি কিনতে চাইলে চক্রটি চাঁদা দাবি করে আসছিল। ভুক্তভোগীরা চাঁদা না দিয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শাহাদাত হোসেন ও ফরিদউদ্দিন চৌধুরীসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী যৌথভাবে ওই এলাকা ১৮ দশমিক থেকে ৭৫ শতক জমি কেনেন। ব্যবসায়ীরা জমি কিনে তাদের জায়গা বুঝে নিয়ে দারোয়ান নিয়োগ দেন। চাঁদাবাজ চক্রটি আবারও তাদের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তারা কাউকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করে। চাঁদাবাজরা তাদের (বাদি পক্ষের) ওপর ক্ষিপ্ত হয়। শুক্রবার বিকেলে গোলাম রাব্বান ও গোলাম তাওহিদের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন চাঁদাবাজ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই জায়গার বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে ও দারোয়ানকে ব্যাপক মারধর করে। এসময় বাধা দিতে গেলে এনামুল হককেও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
অভিযুক্ত জাহেদ মুরাদের পিতা প্রয়াত কফিল উদ্দিন আশির শতকে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। বাদি পক্ষের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন আজাদ জানান, ‘আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে চান্দগাঁও থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। মামলায় ১৪৩/৩৮৫/৪২৭/৪৪৭/১০৯/৫০৬(২)/৩৪ দন্ডবিধি ১৮৬০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।’
মামলার বাদি শাহাদাত হোসেন জানান, গোলাম রাব্বান ও গোলাম তাওহিদ দুইজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতও চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
তারা ওই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা, চাঁদাবাজীসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিল। এছাড়া মানুষের জায়গা জোরজবরদস্তি করে জায়গা দখল, জায়গা কেনা-বেচায় তাদের মোটা অংকের চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে বিপুল সংখ্যক ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতারও হয়েছিলেন গোলাম তাওহিদ। ছয়মাস জেল খাটার পর জামিনে এসে আবারও নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।