স্টাফ রিপোর্টার : সাজা কম হওয়ায় দুর্নীতি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি মামলায় আসামীদের রিমান্ড শুনানিতে এই বিচারক বলেন, দুর্নীতির সাজা বাড়ানো দরকার। এদিনে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম ও ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের রিমান্ড আবেদন শোনেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ। এ সময় তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলায় সাজার পরিমাণ বাড়ানো দরকার। সাজা কম হওয়ায় দুর্নীতি বেড়েছে। জামানত ছাড়া একজন ব্যক্তিকে ৫৮ হাজার কোটি ঋণ দিলে দুর্নীতি তো হবেই। আইন সংশোধন করা দরকার এবং সাজার পরিমাণ বাড়ানো দরকার।

শিবলী রুবাইয়াত ও গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে দুদক। তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাদের কারা ফটকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর রিমান্ডের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করেন শিবলীর আইনজীবী বোরহান উদ্দিন।

শুনানি শেষে শিবলী রুবাইয়াত ও আলমগীরের উদ্দেশ্যে বিচারক বলেন, “আপনারা কিছু বলতে চান?” প্রথমেই ম্যাক্স গ্রুপের গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমি একজন সিআইপি, আমার প্রতিষ্ঠান আছে দেশে। আমি এই কিছু টাকা মানি লন্ডারিংয় কেন করব। প্রতি মাসে আমি ১৩ হাজার লোকের বেতন দিই। বছরে ৩০০ কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে ট্যাক্স দিই। আমি ইঞ্জিনিয়ারদের গৌরব। আমার মত লোককে যদি হেনস্থা করা হয় তা অর্থনীতির জন্য ক্ষতি।

শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, আমি দুদকে চার মাস দৌড়াদৌড়ি করেছি। দুদক যেসব তথ্য চেয়েছে আমি সব দিয়েছি। আমার ও পরিবারের ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার সবকিছু অনুসন্ধান করা হয়েছে, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদ ছাড়া আমার কোন সম্পদ নেই। আমার পরিবারের নামে কোন শেয়ার নেই। রেমিট্যান্স আসছে, সেটা নিয়ে দুদক বলছে মানিলন্ডারিং করেছি। পরে আদালত তাদের কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিলে কান্না করে দেন শিবলী রুবাইয়াত।