কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর পাটক্ষেত থেকে রৌজা মনি (০৬) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া এলাকার একটি পাটক্ষেত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে।

নিহত শিশু রৌজা মনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের চর মারিয়া গ্রামের সুমন মিয়ার মেজো মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (০৬ জুলাই) বিকাল ৫ টার দিকে রৌজা মনি বাড়ির সামনে খেলা করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায় রৌজা মনি। এর পরে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য স্থানে বহু খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। এদিকে শিশুটির খোঁজে সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছিল।থানায়। কিন্তু কোনো খোঁজই নেই মেয়েটির। সন্দেহজনক জায়গা ও আশপাশের পুকুর-ডোবায় কয়েক দফায় চালানো হয় তল্লাশি। আজ১১ই জুলাই শুক্রবার সকালের দিকে স্থানীয় এক কৃষক বাড়ির পেছনে পাটক্ষেতের পাশের জমিতে ঘাস কাটতে গেলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তখন খুঁজতে গিয়ে রৌজা মনির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

শিশুটির বাবা সুমন মিয়া বলেন, ‘কিভাবে কী ঘটেছে, কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি আইনের কাছে আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’

সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবি ছিদ্দিক বলেন, রৌজা মনি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পায়নি। আজ শুক্রবার সকালে এলাকার একটি পাটক্ষেত থেকে রৌজা মনি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা চাই, হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। এজন্য এলাকার সবাই সহযোগিতা করবে।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।