চট্টগ্রামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এরিয়া ম্যানেজারের কাছে চাঁদা দাবি করার সময় ও ডিজিএফআই, এনএসআইসহসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। সাত মিনিটের ফোনালাপের একটি রেকর্ড দৈনিক সংগ্রামের হাতে এসেছে, যেখানে নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার ‘এজেন্ট’ পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করতে শোনা যায় শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদকে। তিনি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক।

গত মাসের শুরুর দিকে ‘মনি ট্রেডিং করপোরেশন’ -এর এরিয়া ম্যানেজারকে ফোন দিয়ে সাজ্জাদ বলেন, “আমাদের খরচ আছে, ছেলেরা পিকনিকে যাবে।” একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানের পণ্য ভেজাল এবং এ বিষয়ে ডিজিএফআই ও এনএসআই তদন্ত করছে, যা তার তত্ত্বাবধানে চলছে। পরে তিনি দেখা করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, দেখা না করলে ‘পরিণাম ভোগ করতে হবে’। দেখা করতে অস্বীকৃতি জানালে সাজ্জাদ হুমকি দিয়ে বলেন, “আমি কে, তা এখন বলছি না। খুব শিগগিরই টের পাবেন।”

এমং মারমা জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে স্কিন-ক্রিমসহ প্রসাধনী পণ্য আমদানি করে এবং সব ধরনের লাইসেন্স, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় এনওসি রয়েছে। তবুও সাজ্জাদ রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করেছেন, যা ব্যবসায়িক পরিবেশের জন্য উদ্বেগজনক।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাজ্জাদের ব্যক্তিগত নম্বরে বারবার ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে ওই নম্বর থেকে এক ব্যক্তি ফোন করে নিজেকে সাজ্জাদের বড় ভাই পরিচয় দিয়ে জানান, সাজ্জাদের স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনি ব্যস্ত আছেন।

অভিযোগ বিষয়ে নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, “সাজ্জাদ কোনো গোয়েন্দা সংস্থার নাম ব্যবহার করেননি। ওই কোম্পানি ভেজাল ও অবৈধ পণ্য বিক্রি করছে—সাজ্জাদ কেবল তার প্রতিবাদ করেছেন।” ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করার এমন ঘটনা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।