ভোলা জেলায় একের পর এক খুন, ধর্ষণ ও মাদকের মতো ভয়াবহ অপরাধ ঘটলেও সেগুলোর সঠিক তদন্ত কিংবা বিচার নিশ্চিত করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম হতাশা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের কোনোটিরই রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। খুনিদের শনাক্ত করা তো দূরের কথা, একাধিক ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর গ্রেপ্তারও হয়নি। এ ব্যর্থতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে পুলিশের কার্যক্রমকে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভোলা কলেজের ছাত্রদল কর্মী ও মেধাবী শিক্ষার্থী ঈস্পীতা হত্যার রহস্য এখনো অমীমাংসিত। একইভাবে ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হত্যার ঘটনায়ও কোনো অগ্রগতি হয়নি এমনকি খুনের মোটিভও জানতে পারেনি জনসাধারণ। এদিকে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা জামেয়ে মসজিদের খতিব, জামায়াত কর্মী বিশিষ্ট বক্তা ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মো. আমিনুল হক নোমানীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।

এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রশ্ন— যদি আগের হত্যাকাণ্ডগুলো সুষ্ঠু তদন্ত হয়ে অপরাধীরা আইনের আওতায় আসতো, তাহলে হয়তো পরবর্তী হত্যাকারীরা কিছুটা হলেও শঙ্কিত হতো। কিন্তু বিচারহীনতার সংস্কৃতিই যেন নতুন অপরাধীদের আরো সাহসী করে তুলছে।

এ বিষয়ে সচেতন মহল বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততা ও অপরাধীদের প্রতি দায়মুক্তির সুযোগই অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তারা অবিলম্বে ঘটনার সঠিক তদন্ত ও খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

জনমনে এখন একটাই প্রত্যাশা— ভোলা জেলা পুলিশকে আরো তৎপর ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, নইলে অপরাধের লাগামহীন প্রবাহ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।