DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

অপরাধ

স্ত্রী-মেয়েসহ আমুর ৪৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তার স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাংক হিসাবসহ তাদের ৪৪টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।

অনলাইন ডেস্ক
আমু
স্ত্রী-মেয়েসহ আমির হোসেন আমুর ৪৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তার স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাংক হিসাবসহ তাদের ৪৪টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।

এসব ব্যাংক হিসাবে ১৮ কোটি ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৫৭৪ টাকা থাকার তথ্য দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

এ তথ্য দিয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংস্থার সহকারি পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এসব ব্যাংক হিসাবের মধ্যে আমুর ১৫, তার স্ত্রী সাঈদা হকের ১৩, মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের ১৫ ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নামে ১টি হিসাব রয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে ‘ঘুষ, টেন্ডার বাণিজ্য, টিআর/কাবিখাসহ সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে অর্থ পাচার, নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক, যা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এ অবস্থায় তারা যেন অস্থাবর সম্পদ উত্তোলন, স্থানান্তর করতে না পারে সেজন্য ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে আবেদনে তুলে ধরে দুদক।

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির অন্য নেতাদের মত আমুরও কোনো হদিস মিলছিল না।

ওইদিন শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দ্বাদশ সংসদের ঝালকাঠিতে আমুর বাসবভনে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।

পরে তার ওই বাসভবন থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গত ১৪ আগস্ট ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।

সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।

ষাটের দশকের ছাত্রলীগ নেতা আমির হোসেন আমু ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বরিশাল থেকে প্রাদশিক পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন।

স্বাধীনতার পর পাঁচবার এমপি হওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আমু ছিলেন বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালী, যশোর ও ফরিদপুর জেলার মুজিব বাহিনীর প্রধান।

১৯৭৮-১৯৮৬ সালে তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে তাকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য করে নেওয়া হয়।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান আমু। দলের ২০০৯-১৪ মেয়াদের সরকারের একেবারে শেষ দিকে দপ্তর পুনর্বণ্টনে তাকে ভূমি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৪ সালের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করলে আমির হোসেন আমুকে দেওয়া হয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

২০২০ সাল থেকে ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং মুখপাত্র হিসেবে আমু দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

বিষয়সমূহ