গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার মামলায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে মোট সাতজনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে জিএমপির উপকমিশনার রবিউল হাসান জানান, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন—ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী বেগম, স্বাধীন, আল আমিন এবং সুমন। এর মধ্যে ফয়সালসহ তিনজনকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে, আল আমিনকে রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে এবং স্বাধীনকে হোতাপাড়া থেকে আটক করা হয়।
পরে মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন—মো. ফয়সাল হাসান (২৩), যাকে নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দনা এলাকার মাহবুব স্কুল মোড়ের একটি ভাড়া বাসা থেকে ধরা হয়, এবং মো. শাহ জালাল (৩২), যাকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়া থেকে আটক করা হয়।
জিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে অবস্থিত সিপিএসসিতে সংবাদ ব্রিফ করবেন র্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ. মামুন খান চিশতী।
উল্লেখ্য, নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে এবং পরিবারসহ চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতেন।