মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক মুক্তাদির রশিদের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর হস্তক্ষেপ’ এবং ‘বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন (ইএফএ)।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সংগঠনের প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট সাইফুল্লাহ খান সাইফের (অব.) স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায় ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিক মুক্তাদির রশিদ ‘ইচ্ছাকৃত ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য’ করছেন, যা তাদের ভাষ্যমতে ‘ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা’।

ইএফএর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি বিচারাধীন ও সংবেদনশীল মামলাকে নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য আদালতকে অপমান করে এবং বিচার ব্যাহত করার শামিল। দণ্ডপ্রাপ্তদের রক্ষায় করা এ ধরনের মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

সংগঠনটি আরও দাবি করে, আদালত যে রায় দিয়েছেন তা ‘সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে’, এবং এই রায়কে ঘিরে ‘অযাচিত প্রচার’ ও ‘পক্ষপাতমূলক ভাষ্য’ বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি জনআস্থা ক্ষুণ্ণ করছে।

বিবৃতিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে ইএফএ বলে, ‘বিচার বিভাগকে অপমান করা বা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করে। এসব কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রবিরোধী প্রবণতা হিসেবে বিবেচনার দাবি রাখে।’

সংগঠনের দাবি, সাংবাদিক মুক্তাদির রশিদের বক্তব্য ‘রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল’ এবং এ বিষয়ে তাকে আদালতের মুখোমুখি করা উচিত বলে তারা মনে করে।

ইএফএ আরও সতর্ক করে জানায়, ‘বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার যে কোনো চেষ্টা আইনের আওতায় আনা হবে। অপপ্রচার চালালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংগঠনটি পুনর্ব্যক্ত করে যে, সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘আইনের ভিত্তিতেই চলবে’ এবং ‘কোনো চাপ বা বিভ্রান্তি বিচারকে থামাতে পারবে না।’