স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী তাসরিন মুজিবের নামে থাকা ফ্ল্যাট-জমি জব্দ এবং ৩৪টি ব্যাংক হিসাব অবরোধের আদেশ দিয়েছেন দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মো. সিরাজুল হক ওই দুজনের জমি-ফ্ল্যাট জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরোধের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রীর অবরুদ্ধ ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা রয়েছে। অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাবের মধ্যে মুজিবুর রহমানের ২৪টি ও তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ১০টি।
জব্দ হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে মুজিবুর রহমানের নিজ নামে মিরপুরের মাটিকাটায় ৪ হাজার ৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি প্লটসহ ভবন। এ ছাড়া খিলক্ষেত, মিরপুর, সাভার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ১১টি দলিলে থাকা ৪২ দশমিক ৩০ কাঠা জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়।
মুজিবুর রহমানের স্ত্রী তাসরিন মুজিবের নামে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের সাহারা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের বাউনিয়া এলাকায় ৭টি দলিলে প্রায় ৪০ কাঠা জমি রয়েছে।
সাবেক এসএসএফ ডিজি ও তার স্ত্রীর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. সিরাজুল হকের আবেদনে বলা হয়, ‘মুজিবুর রহমান সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।… বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা ও উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার জন্য তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ অন্যত্র বিক্রয়/হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন। এ কারণে তার নিজ, তার স্ত্রী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নামীয় বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। তাদের স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাবসমূহ অবরুদ্ধ করা না গেলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’