জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলনের সময় দাপ্তরিক কাজে বাধা দেয়ায় আরও চার কর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) এক আদেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়। এই বরখাস্তের আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়।
যারা বরখাস্ত হলেন, তারা হলেন সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু; খুলনার মোংলার কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার আবুল আলা মোহাম্মদ আমীমুল ইহসান খান; চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির যুগ্ম কমিশনার সানোয়ারুল কবির ও খুলনার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম।
গত দেড় মাসে এনবিআর সদস্য থেকে প্রহরী পদবি পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আজ আইআরডি সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান চার কর্মকর্তার বরখাস্তের পৃথক চারটি আদেশে সই করেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক গত ১২ই মে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারির পর এর বিরোধিতা করে এনবিআর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট এবং আয়কর বিভাগের কর্মচারীদের কর্মসূচি চলাকালীন দায়িত্বরত কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজ সম্পাদনে বাধা প্রদান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কাজ ত্যাগ করে রাজস্ব ভবনে আসতে বাধ্য করতে সংগঠকের ভূমিকা পালনের মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। তাই তাদের (চার কর্মকর্তা) বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা-৩৯ (১) অনুযায়ী তাদের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। চিঠিতে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন তারা বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।