নীলফামারীতে ডাল ছাটাইয়ের নামে কৌশলে সরকারী গাছ লোপাট করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসের সরকারি গাছে। কর্তনকৃত গাছ উপজেলা বনবিভাগ জব্দ করলেও আইনগত ব্যাবস্থা নিতে উদাসীন বন বিভাগ।
এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাবাসী জানায়, গতকাল শনিবার সারাদিন ও রাতে ডোমার উপজেলা ক্যাম্পাসের ভিতরে আবাসিক ভবনের পাশের একাধিক মেহগনি গাছের ডাল ছাটাইয়ের নাম করে কাটতে থাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ী চালক লিটন ও অফিসার্স ক্লাবের পিয়ন বাদল। ডাল ছাটাইয়ের নামে তারা গাছের বড় বড় ডালগুলো কাটতে থাকে। গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের এ কর্মকান্ড। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেলে বাধা দেয়। পরে অনেক দেন দরবার শেষে দিবাগত গভীর রাতে ডোমার উপজেলা বন বিভাগ কর্তনকৃত গাছের কিছু ডাল জব্দ করলেও বেশীরভাগ কাঠ ইতিমধ্যে বাইরে পাচার হয়ে যায়। জব্দকৃত প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার কাঠ ডোমার বনবিভাগ চত্বরে রক্ষিত রয়েছে।
সরকারী বিধি অনুযায়ী ডাল ছাটাই করতে হলেও কমিটি গঠন করে করতে হয়। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে অজ্ঞাত ক্ষমতাবলে ইউএনও‘র ড্রাইভার ও পিয়ন নিজেরাই গাছ কেটে চলছেন। একাধিক সুত্র জানায়, ইউএনও‘র নির্দেশে তারা ডাল ছাটাই করছেন। এ ব্যাপারে ইউএনও‘র ড্রাইভার সাংবাদিকদের জানান, তারা নয় এলাকাবাসী গাছ কেটেছে বলে দাবী করেন। এ ব্যাপারে সরকারী আবাসিক ভবনের সাধারন সম্পাদক ও ডোমার উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রকৌশলী ফিরোজ সাংবাদিকদের জানান, গাছ বা গাছের ডালপালা কর্তনের কোন কমিটি হয় নাই। কেউ যদি গাছ কেটে থাকে এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিযোগ আকারে দিবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে ডোমার বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হাই গাছ জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য যে, ইতিপুর্বে ইউএনও অফিসের অফিস সহকারী আবিদা একটি ভবনের পড়ে যাওয়া গাছের ডাল কেটে একাই বিক্রি করে আত্মসাৎ করেন। যার কোন ব্যাবস্থা না নেওয়ায় আবারো উপজেলা পরিষদের সরকারী গাছ কাটার ঘটনা ঘটলো।