ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের আবাসন প্রকল্পের নকশা অনুমোদনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সময়মত দাখিল না করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আহসানুল কবীর পলাশকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করেননি এবং সময় বৃদ্ধির আবেদনও জানাননি। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মচারী বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১৬ জুলাই কমিশনের সভায় পলাশকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি প্রচলিত বিধি অনুসারে খোরাকি ভাতা পাবেন। এ আদেশ ৬ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে উত্তরা আবাসিক এলাকার ১২ নম্বর সেক্টরসংলগ্ন তুরাগ থানাধীন নলভোগ ও রানাভোলা মৌজায় রূপায়ণ সিটি উত্তরা প্রকল্পে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন সংক্রান্ত নথিতে রাজউকের সহায়তায় জালিয়াতির অভিযোগের অনুসন্ধান করছিল দুদক। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই রাজউকে অভিযোগ করেছেন এবং এ বিষয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।