যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে মো. চঞ্চল গাজী (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় তার পিতা মো. মধু গাজী (৫২) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ২০২৫) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাকাতিয়া গ্রামের ইসরাইল ডাক্তারের বাড়ির সামনে দীর্ঘদিনের পুরোনো বিরোধকে কেন্দ্র করে চঞ্চল গাজী ও তার পিতা মধু গাজীর সঙ্গে প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৪০), মাহিম হোসেন (২৫) ও সাদ্দাম হোসেন (৪৫)-এর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনাস্থলেই প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে চঞ্চল ও মধু গাজীর ওপর হামলা চালায়। এতে দুজনেই গুরুতরভাবে আহত হন।

পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চঞ্চল গাজী মারা যান। নিহত চঞ্চল গাজী এলাকার একজন তরুণ কৃষক ছিলেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে গুরুতর আহত পিতা মধু গাজী হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোতোয়ালি মডেল থানার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি পূর্ব শত্রুতাজনিত বিরোধের জের ধরে ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত রবিউল ইসলামও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চঞ্চল গাজী ও প্রতিপক্ষদের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। কয়েক দফা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়, যার জের ধরেই বৃহস্পতিবারের এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত চঞ্চল গাজীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ বলছে, তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান।#